গাংনীর বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর হাতে নিহতদের পরিবারকে সম্মাননা

৫০ বছরেও মেলেনি ১৬ শহীদের স্বীকৃতি : রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দাবি

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ১৬ শহীদ পরিবারকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ১৬ শহীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়ার দাবি করেন এলাবাসী।
১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট সাহাবারটি গ্রামের টেপুখালী মাঠে মুক্তিকামী ৮ জনকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক সেনারা। সেখানে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়েছে। একই সময়ে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরও ৮ জন শহীদ হন। এই ১৬ জনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আজও মেলেনি। বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে এসেও স্বীকৃতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ১৬ জন শহীদের পরিবারের সদস্যরা।
বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে আয়োজন করা আলোচনাসভা। অনুষ্ঠানে ১৬ শহীদ পরিবারের সদ্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও একাত্তরে যারা শহীদ হয়েছিলেন তারাসহ জেলার মানুষ যারা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন তাদের নিয়ে “মুক্তিযুদ্ধে মেহেরপুর জেলার মানুষের অবদান” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি লিখেছেন জাপান প্রবাসী ড. মোখলেছুর রহমান।
ভাপটাড়া নীলকুঠি প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এলাকাবাসী। অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এমলাক হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট কবি আলকামা সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোকলেসুর রহমান ও গাংনী উপজেলা মুক্তি বাহিনীর টিম লিডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন। মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমীন ধুমকেতুর সঞ্চালনায় জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিজন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More