চতুর্থবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন আ.লীগ প্রার্থী হাসান কাদির গনু

কাউন্সিলর হলেন যারা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মেয়র পদে আ.লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান কাদির গনু পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পরপর তিনবারসহ মোট ৪ বার মেয়র নির্বাচিত হলেন। নৌকা প্রতীকে তিনি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬শ ৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী মোবাইলফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৩ ভোট। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি মনোনীত আলহাজ মীর মহিউদ্দিন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৮ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। অবশ্য, দুপুর ১টায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ মীর মহিউদ্দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান কাদির গনু নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। করা হয় মিষ্টি বিতরণ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসান কাদির গনু চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মিষ্টি মুখেরও আয়োজন করা হয়।
এদিকে, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিল পদে পানির বোতল প্রতীকে ৫৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আলাল উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী মাসুদ রানা তুহিন। তিনি উটপাখি প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ৩২০ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে এক হাজার ১৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার মজিবুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী আলী আজগর উটপাখি প্রতীকে নিয়ে পেয়েছেন ৬০৭ ভোট। তিনি নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বর্জন করেন। ৩নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে এক হাজার ৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম স্বপন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দীনেশ কুমার বিশ্বাস উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৫ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে ৬১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উদ্দীন ভোলা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী পরিমল কুমার ঘোষ পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬১ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে ৯০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল গাফফার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী সিরাজুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৭১৭ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ডালিম হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আবুল কাশেম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে ৬৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশাদুল হক ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬২ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে ৬৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আশরাফুল হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী জাহিদুল ইসলাম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৩ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে এক হাজার ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল মুন্সী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মামুনুর রশিদ হাসান টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৫ ভোট।
এছাড়া, সংরক্ষিত মহিলা ১নং আসনে (১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড) আনারস প্রতীকে ২ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিপ্রা বিশ্বাস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী কল্পনা খাতুন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৯৬০ ভোট। ২নং আসনে (৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড) আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী সুফিয়া খাতুন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৬৫৬ ভোট। ৩নং আসনে (৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড) চশমা প্রতীকে এক হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আরজিনা খাতুন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ২৬২ ভোট।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More