চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুরের অভিযোগ

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজুকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করেছেন খাড়াগোদা গ্রামের আরিফুল ইসলাম, রুবেল, বিপ্লব ও মানুয়ার নামের ৪ যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার ইফতারের ২০ মিনিট পূর্বে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা অস্থায়ী পরিষদের টিন ভাঙচুর করে। দরজায় লাটিশোটা নিয়ে হামলা করে। পরে স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি লাঠি ও ভাঙা পাইপ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ইতোপূর্বে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় গালিগালাজ করা হয়েছে। তাতে আমি ভীত না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার বাড়ীতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে আমি ধিক্কার জানাই। চেয়ারম্যানের সহোদর নজরুল ইসলাম নজু বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। তারা লাটিশোটা নিয়ে হামলা চালায়। আমি সামনের দরজায় ছিটকানি দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। দরজায় অনেকবার লাথি দিয়ে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম পিলুর ভাই হাসান বলেন, গতকাল ইফতারের আগে একটি কালো পালসার গাড়িতে করে এসে মাস্ক ও হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত দুজন আমার গলায় দা ধরে চেয়ারম্যানের সাথে ঝামেলা না মিটিয়ে ফেললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এটা বাজারের অনেকেই দেখেছে। পরে তারা ভুলটিয়ার দিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম পিলুর মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আমার ভাইয়ের ঘটনা শোনার পর চেয়ারম্যানের কাছে জিজ্ঞেস করার জন্য গিয়েছিলাম। কেনো তার লোক আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিলো? পরে রাগের মাথায় দরজায় একটি লাথি মেরেছি। এর বেশি কিছুই না। তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি কোনো হামলা করিনি। আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করলে আমি কোনো ঝামেলা না করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করবো।
এদিকে, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সময়ে উপস্থিত সকলেন বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক তার কোনো ছাড় নেই।
এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় গিয়ে চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান রাজু ও তার পরিষদের মেম্বারগণ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More