চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তারা

একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব সরকারের আইনগুলো মেনে চলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, ৬-বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন, এনএসআই উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিক ও চেম্বারের সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র মুন্সী রেজাউল করিম খোকন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ, জেলসুপার নজরুল ইসলাম ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মার্চ মাসের পর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহামারী করেনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হয়। লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। সরকার স্বাস্থ্যবিধি দিয়েছে। সবাই মিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাচ্ছি। একাজগুলো করতে গিয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনী-বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য ছুটতে হচ্ছে। জানা সত্বেও মানতে চাচ্ছে না জনগণ। লকডাউন উঠে গেলেও রেডজোন ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে। সেজন্য সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দর্শনা পৌরসভার ৫ ও ৭নং দুটি ওয়ার্ডকে রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে ৩০ জন করোনা শনাক্তের রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকীগুলো বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের পর ৩১ মে’র পর থেকে মাদক-চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরাচালান রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। গত ২-৩ মাস আইন-শৃঙ্খলা ভালো ও স্বাভাবিক ছিলো। নিয়মিত টহল দিচ্ছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। যেখানে পজিটিভ রোগী আছে সামাজিক সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ম্যাপিং করে লকডাউন করতে হবে। লকডাউন সিভিল সার্জনের পরামর্শে করা হবে। প্রয়োজনে রোগীকে বাজারঘাট করে দেয়া হবে। যারা গরীব অসহায় সরকারের পক্ষ থেকে বাজারঘাট দ্রুততার সাথে হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। পজিটিভ রোগীদের খাদ্য সামগ্রী কিনে দিতে হবে। শহরে রোগ বেশী গ্রামে কম। পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। মানুষের নৈতিকতা উন্নত না হলে হবে না। একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব সরকারের আইনগুলো মেনে চলা। পরিবারের সবাই টেনশনে থাকে। বাইরে যাওয়া রিস্কি। আমরা যারা দায়িত্বে আছি তাদের মাস্ক পরতে হবে। বাইরে থেকে বাড়ি গিয়ে জামা কাপড় পরিস্কার করে ঢুকতে হবে। অফিস স্টাফদের বলতে হবে। গাড়িরচালক সংক্রমিত হলে আপনিও সংক্রমিত হবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আবার ভালো হয়ে গেছে। আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। হতে হবে সচেতন।
জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট জেলায় ১৮০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। দুজন মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ হয়েছে। একজন অফিসার ইনচার্জসহ ২৮ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে। যে যতো স্বাস্থ্যবিধি মানবে ততো ভালো থাকবে। মিডিয়াপ্রচার করছে। দোয়া করি সংক্রমণের হার হ্রাস পায়।
৬-বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি বলেন, করোনাকালীন সময়ে বেঁচে আছি সেটাই সুখের খবর। এসময় অনেকে মারা গেছেন। সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। খুলনা-পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ডারে বিওপি কাজ করছে। লকডাউন ছিলো ওই সময়ে ভালো ছিলো। লকডাউন উঠে যাওয়ায় ১৫ দিনে চোরাচালান বেড়ে গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More