চুয়াডাঙ্গায় বিচারক ও জজশিপের দুই কর্মচারীর বদলি ও শাস্তির দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি অব্যাহত

স্টাফ রিপের্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিচারক ও জজশিপের দুই কর্মচারীর বদলি ও শাস্তির দাবিতে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় আন্দোলনের ১৪তম দিনে জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবনের সামনে আইনজীবী সমিতির সদস্যরা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সহকারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বারের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ও এমএম শাহজাহান মুকুল, বারের সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আবুল বাশার, শামীম রেজা ডালিম ও আসম আব্দুর রউফ, সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন, মারুফ সারোয়ার বাবু, শহিদুল হক (২), ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মইনুদ্দিন মইনুল, রফিকুল আলম রান্টু, আতিয়ার রহমান, শফিকুল ইসলাম, মানি খন্দকার ও আবু তালেব বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বারের সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন বলেন, ১৮ মার্চ থেকে আইনজীবীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। আইন সচিবকে বলেছিলাম তদন্ত করার জন্য দ্রুত চলে আসেন। কিন্তু এখনো আসেননি। আইনজীবীরা বড় ধরনের কর্মসূচির কথা ভাবছে। প্রয়োজনে হরতাল ডাকা হবে। দুর্নীতিবাজদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের ঐক্য আছে, ত্যাগ আছে। সবাইকে নিয়ে আমরা আগামীদিনের কর্মসূচি দেয়া হবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি। যতদিন পর্যন্ত না যাবে ততোদিন আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১) মোহা. বজলুর রহমান, জেলা জজ আদালতের দুর্নীতিগ্রস্থ নাজির মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও সেরেস্তা সহকারী জহুরুল ইসলাম কর্তৃক আইনজীবীগণের ওপর পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে আন্তঃজেলা বদলি ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। গত ১৮ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ মোহা. বজলুর রহমানের সাথে আদালত পরিচালনার বিষয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে বিচারকের খাসকামরায় জজশিপের কর্মচারীরা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের ওপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। এ সময় কয়েকজন আইনজীবীরা আহত হন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতিতে জরুরি সাধারণ সভায় অনির্দিষ্টকালের আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বারের সভাপতি আলমগীর হোসেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More