চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক পরিচয়ে অর্থ দাবি : ফারুককে আটকের পর মুচলেকায় মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: সময় টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চুয়াডাঙ্গার ফারুক আজমকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়েছে। পরে অবশ্য পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে সদর থানা থেকে মুক্ত হন তিনি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রতারক ফারুক আজমকে ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয় সাংবাদিকরা।

চুয়াডাঙ্গা ও জীবনগরের সাংবাদিকরা জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার ফারুক আজম একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি জীবননগর উপজেলার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে সময় টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অর্থ দাবি করেন তিনি। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কাছ থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন। যাদের কাছে থেকে টাকা পাননি তাদের কাছে ফোন করে টাকা দাবি করেন ফারুক। টাকা না দিলে সংবাদ প্রচারের হুমকি দেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করতো।

এদিকে, সময় টিভির সাংবাদিক টাকা দাবি করার ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারেন সাংবাদিক মাহফুজ মামুন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রতারক ফারুক আজমকে চিহ্নিত করা হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, সাংবাদিক পরিচয় অর্থ দাবি করার ঘটনায় ফারুক আজমকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সময় টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ মামুন বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে এবারের মতো ছাড় দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটানোর শর্তে মুচলেকা নিয়েই তাকে ছাড়া হয়। তবে এরপর কোথাও কোনো সাংবাদিকের পরিচয় ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, সময় টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে স্থানীয় সাংবাদিকরা ফারুককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মুচলেকা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এ অপকর্ম করবে না বলে লিখিত দেয় পুলিশের কাছে। ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া অন্যায় কাজ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More