চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন ও কালভার্ট নির্মাণে মনিটরিং জোরদার করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবন ও কালভার্ট নির্মাণে মনিটরিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ইচ্ছে করলে ঠিকাদাররা পার পাবেন না। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুজিবশতবর্ষ সময় বৃদ্ধি করা  হয়েছে। আবার নতুন করে পরিকল্পনা করতে পারি। জনগণের কল্যাণ হয় এমন কাজ করবেন।’ গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেছেন।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পরভীন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীন, এনএসআই উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়তউল্লাহ, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়সহ জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় যোগ দেন।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। জাতির পিতার স্বপ্নই ছিলো মানুষের কল্যাণ করা। প্রত্যেকের অফিস যেনো কল্যাণকর হয়। মানুষ যেনো অফিসে এসে ভালো ধারণা পায়। মানুষের আকাক্সক্ষার কাজ করবেন। অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হলো। রাস্তায় পাশে বালি, ইটপাথর ও ছ’মিল না থাকে। না সরালে জনদুর্ভোগ কমবে না। আগামী ২৩ জানুয়ারি গৃহহীনদের ঘর প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। উপজেলা ফান্ড থেকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিতে হবে। নদী খননের পর দু’পাশে নদীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য গাছের পরিচর্চা করতে হবে। রেলওয়ে ওভার ব্রিজের কাজ একনেকে পড়ে আছে। রেলওয়ে থেকে এনওসি নিতে সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে হবে। খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে মিলারদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির কার্যক্রম চলছে। অতিরিক্ত ফিস নেয়া যাবে না। জেলা শিক্ষা অফিসারকে স্কুল পরিদর্শনে যেতে হবে। রাস্তা খুঁড়াখুড়ির সময় ক্যাবল লাইনের তার না কাটে সেজন্য সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। টিটিসিতি যেনো প্রকৃত প্রশিক্ষণ হয়। মানুষ যেনো শিখতে পারে। কর্মসংস্থান বেগবান করতে হবে। বিদেশে যাবার প্রবণতা একেবারেই কম। অল্প টাকায় বিদেশে যাওয়া যায়। এলাকায় লিফলেট প্রচার করতে হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে গেলে টাকা পয়সা মার যাবার কোনো ব্যাপার নেই। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলছে। সেখানে মানুষ যাবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More