ঝিনাইদহে চেতনানাশক স্প্রে করে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের লক্ষীকোল গ্রামের বারেক আলীর ছেলে জান্নাত আলীর (৩০) বিরুদ্ধে চেতনানাশক স্প্রে মুখে দিয়ে তারই বাসার ভাড়াটিয়ার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নাবালিকার মা আনোয়ারা বেগম (৩৬) বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। গত শনিবার  এ ঘটনায় লিখিত এজাহারে বাদী আনোয়ারা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, বিবাদী জান্নাত আলী আমার বাসার মালিক। অনুমান দেড় মাস যাবত বিবাদীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে তিনি ৩ কন্যাসহ ভাড়া রয়েছেন। পরের বাড়িতে কাজ করে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। সেই সুবাদে কাজের কারণে আমি আমার বড় কন্যাকে নিয়ে প্রতিদিন সকাল অনুমান ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেই সুযোগে বিবাদী আমার নাবালিকা কন্যাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। গত ২৪ মে আমার কন্যা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবাদী আমার কন্যার মুখে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে  ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরলে বিবাদী কন্যাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আমার কন্যাকে বলে, এ কথা যদি কাউকে বলিস তবে তোকে খুন করে ফেলবো। আমার নাবালিকা কন্যা ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানালে বিবাদী জোরপূর্বক বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ের মাথা ঘোরা ও একাধিক বার বমি হয়। বর্তমানে আমার কন্যা অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনার বিষয়ে অনেকেই অবগত আছে। বর্তমানে বিবাদী আমার ও আমার কন্যাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। বলছে, এ নিয়ে যদি কোনো বাড়াবাড়ি করিস তবে তোদেরকে জানে মেরে ফেলবো। বিবাদী অত্যন্ত খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ওই বিষয় ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিবাদী আমার ও আমার কন্যাকে খুন-জখমসহ যেকোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এমতাবস্থায় আমাদের আইনি সহায়তা একান্ত প্রয়োজন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এটা দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More