দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময়সভায় এমপি টগর

বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র রুখে আবারও নৌকায় ভোট দিন

দর্শনা অফিস/ভ্রাম্যমাণ ও কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: আসন্ন জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি এলাকার প্রত্তন্ত অঞ্চলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবিরাম ছুটছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে করছেন কুশল ও মতবিনিময়। পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগীদের সাথেও করছেন মতবিনিময়সভা। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে নৌকা প্রতীকের পক্ষে চাচ্ছেন দোয়া ও ভোট। বিরামহীনভাবে নির্বাচনি গণসংযোগ, পথসভা, কর্মীসভা, মতবিনিময় ও জনসভা অব্যাহত রেখেছেন পরপর ৩ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়েই নির্বাচনি মাঠে নেমেছেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্র বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র রুখতে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরাসহ সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগীদের নিয়ে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল মতবিনিময়সভা। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকের এ মতবিনিময়সভায় কার্পাসডাঙ্গা বাজার মাঠে রুপ নেয় জনসমুদ্রে। নির্বাচনি এলাকার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাজার মাঠে স্থান সংকলন না হওয়া গোটা কার্পাসডাঙ্গা জুড়েই ছিলো মতবিনিময়সভায় আসা মানুষের ঢল। সকাল ১০টার দিকে এ সভা শুরু হলেও সকাল থেকেই সভা চত্বরে সমবেত হতে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারের সুবিধাভোগীরা। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন সংশ্লি¬ষ্ট সেøাগানে সেø¬াগানে মুখরিত ছিলো গোটা কার্পাসডাঙ্গা। এ সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মধ্যদিয়ে শুরু হয় আলোচনাপর্ব। জনসমুদ্রে পরিণত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য, জননন্দিত জননেতা উন্নয়নের রূপকার হাজি আলী আজগার টগর বলেন-১৯৭১ সালে বাংলার স্থপিত, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙ্গালী জাতীর মুক্তিদাতা, বিশ্ব মানবতার মুর্ত প্রতীক, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো এ দেশের দামাল ছেলেরা। ৯ মাস আমরণ লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছিলাম সার্বভৌম বাংলাদেশ। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন স্বপ্ন দেখছিলেন একটি সমৃদ্ধশীল দেশ গড়ার, ঠিক তখনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো এ দেশের কলঙ্কিত সন্তানেরা। দীর্ঘ ৩০ বছর ক্ষমতা ছিলো বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় পার্টি সরকার। বিএনপি-জামায়াত সরকার, ধর্মের নাম ভাঙিয়ে দেশবাসীকে ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে নিজের আখের গুছিয়েছিলো। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আ.লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিলো তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো সুসংগঠিত হয়েছিলো আ.লীগের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ নৌকা ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আ.লীগ ৪ বার আ.লীগ সরকার গঠন করেছে। ৪ বারে আ.লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। গোটা বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন পূরণ করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ যেমন নিরক্ষর মুক্ত, তেমনি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশ থেকে নির্মূল করা হয়েছে সন্ত্রাস ও মাদক। দুর্নীতি দূরিকরণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্যগতিতে। এ সরকারের শাসনামলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীতের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে শতভাগ। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, মসজিদ-মন্দির, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, ব্রিজ-কালভাট সহ সর্বস্থরে লেগেছে উন্নয়নের ছোয়া। এমপি আলী আজগার টগর আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার, মানেই উন্নয়নের সরকার, গরিব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের সরকার। অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে দেশে সকল প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ও শিশু ভাতাসহ অসংখ্যক ভাতা প্রদান করছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের উন্নয়নের কথা ভাবে। অতীতে কোনো সরকার প্রতবন্ধীদের কথা ভাবেনি, গর্ভবতি নারীদের নিয়ে চিন্ত করেনি, গরিব দুঃখী শিশুদের পুষ্টির কথা যেমন ভাবেনি, তেমনি অবহেলিত বয়স্ক বৃদ্ধ-বাবা মায়েদের চিন্তাও তাদের ছিলোনা। এ সরকার অসাধ্যকে সাধ্যে পরিণত করেছে দেশের সর্ববৃহত পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। আজ যোগাযোগ ব্যবস্থা কতটা এগিয়ে তা দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার। বাংলাদেশের মানুষ এখন মিথ্যাবাদি, ঠক, প্রতারক, স্বার্থবাদি ও বেঈমান বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশে এখন আর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই খুন, গুম, ডাকাতি, অপহরণ, চাদাবাজি নেই বিধায় মানুষ এখন শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারে। শান্তিপ্রিয় মানুষ আর অশান্তি চায়না বলেই আ.লীগের পতাকাতলেই রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমেই দেশবাসী নৌকা প্রতীক বিজয়ী করে আবারো প্রমাণ দেবে আ.লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা। আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের ভাই, আপনাদেরই ছেলে তাই এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছি এবং ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে হবে। তাই নৌকা প্রতীকে ভোট দিন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনে সহায়তা করুন। কার্পাসডাঙ্গা ও নাটুদাহ ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন-আজকে যত উন্নয়ন দেখছেন এসব শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে হয়েছে। এ সরকার সর্বস্থরের উন্নয়ন এনেছে। সাধারণ মানুষ আজ শান্তিতে বসবাস করছে দুবেলা খেয়ে। দিন শেষে মাথা গোজার ঠাইও করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সকল জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের সকল গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর, প্রতিবন্ধি, বিধবা, বয়স্ক ও শিশু ভাতাসহ অসংখ্যক ভাতা প্রদান করছেন। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, মেয়র রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা, দামুড়হুদা উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তা সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির, কেরুজ চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত এমডিএম শেখ শাহাবুদ্দিন, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার হোসনে জাহান, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি এম হাবিবুল্লাহ বাহার, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, হাউলি ইউপি চেয়ারম্যান নিজামুদ্দিন, উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, মনোহারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন, রায়পুর ইউপির চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আ. করিম, নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফি উদ্দিন। দামুড়হুদা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আ.লীগ নেতা শফিউল কবীর ইউসুফ, মুনতাজ আলী, নজির আহমেদ, আলী আহমেদ, আবু সাঈদ খোকন, শুকুর আলী, আলী হোসেন, আব্দুল কাদের, আব্দুস সালাম বিশ্বাস, জাহিদুর রহমান মুকুল, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, জীবননগর উপজেলার সভাপতি আব্দুস সালাম এশা, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজু আহমেদ রিংকু প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More