নতুন রোগে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ধান : দিশেহারা হয়ে পড়ছেন মেহেরপুরের কৃষকরা

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে অতিরিক্ত গরম ও নতুন রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জমির ধান। সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েও এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকরা। ফলে আক্রান্তের ৪-৫ দিনের মধ্যে জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কষ্টের ফসল। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর যাদবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, পরিবারের চালের চাহিদা মেটাতে ও পরবর্তী আবাদ করতে বোরো মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। উৎপাদিত ধান নিজেদের খাবারের জন্য রেখে বাকি ধান বিক্রি করে থাকি। কিন্তু এবার পরবর্তী আবাদ নিয়ে শঙ্কিত। ধান ঘরে তোলার আগেই দেখা দিয়েছে নতুন রোগ। নতুন রোগে শীষ বিবর্ণ হয়ে দানা হচ্ছে না। গাছ ভালো থাকলেও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ। ধান আবাদে ইতিপূর্বে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হননি তিনি।
একই গ্রামের আরেক চাষি আইয়ুব হোসেন জানান, সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেও চার বিঘা জমির ধান চিটা হওয়া থেকে রক্ষা পাইনি। বিভিন্ন কোম্পানি ও স্থানীয়দের পরামর্শ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করেও সমাধান হচ্ছে না। এ বছর ধান না হলে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হবে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিষয়টি জানার পরও কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত চাষিদের পরামর্শ দিতে মাঠে আসেননি। নতুন এ রোগের কার্যকর সমাধান না দেয়ায় ক্ষতির সম্মুখিত হতে হবে শত শত কৃষকের।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে কিছু কিছু জমিতে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়েছে। তাপমাত্রা যখন ৩৫ ডিগ্রির বেশি হয় তখন গরমে ধানের শীষগুলো চিটে হয়ে যায়। এটা মূলত জলবায়ুগত সমস্যা।
তিনি আরও বলেন, জেলায় এ বছর ১৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যেসব জমিতে এখনও থোর আসেনি সেসব জমিতে সেচের পাশাপাশি বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি পটাশ সার দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More