মেহেরপুর পৌর এলাকার ১৩ হাজার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন মেয়র রিটন

মেহেরপুর অফিস: মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি ও উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার নির্দেশনা দিয়েছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেনো জনগণের পাশে থাকেন। কিন্তু সমালোচিত হয়েছেন অনেক জনপ্রতিনিধি। ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এমন সমালোচনার মধ্যেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ময়দানে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নিবেদিত কর্মী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের ও এলাকার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। দেশের পরীক্ষিত এমন আলোচিত মেহেরপুরের একজন জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রথম থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় পাশে ছিলেন মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ উদ্যোগে সাধারণ অসহায় মানুষের জন্য খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। দুঃস্থদের তালিকা তৈরি করে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। শুধু দুস্থ নয়, মধ্যবিত্ত ও যারা অভাবগ্রস্ত তাদেরও সহযোগিতা করেছেন রিটন। তিনি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে আছেন এই করোনার দুর্যোগময় মুহূর্তে। লকডাউনের কারণে ১৩ হাজার মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন নিজে যেয়ে। যা বাংলাদেশে বিরল ঘটনা। করোনা ভাইরাসের প্রতিহত করতে ও হাত ধোয়ার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যায়াচিং বসিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সতর্কীকরণ মাইকিং, হ্যান্ডবিল, মাস্ক এবং বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে নগরবাসীকে সতর্ক করেছেন। এছাড়াও শহরের প্রতিটি রাস্তা, ওলি-গলি ও বাজারগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করাসহ সতর্কতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন পৌর মেয়র।
করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবাদানের লক্ষ্যে মেহেরপুর পৌরসভার ১টি অ্যাম্বুলেন্স সবসময় রেডি রেখেছেন। যতদিন করোনা ভাইরাসের তান্ডব থাকবে ততদিন কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সামগ্রী উপহার পৌর এলাকার ১০০০ পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি করে চাল ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় পরিবারের তালিকা করে তাদের মাঝে বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র।
কয়েকজন পৌরবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় নিজ এলাকার জনগণের বন্ধু হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন মেয়র রিটন। এই সংকটের মুহূর্তে তিনি জনগণের অভাব অনটন, দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য জনগণের পাশে রয়েছেন। করোনা সংকটের শুরু থেকে নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে আস্থা অর্জন করেছেন পৌর মেয়র। এছাড়াও কর্মহীন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির সেবক হিসেবে কাজ করে গরীবের মেয়র হিসেবে চিহিৃত হয়েছেন মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।
পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবকিছু সীমিত আকারে করা হয়েছে। যে কারণে সাধারণ কর্মজীবী মানুষগুলো অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এসময় মানুষ কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। পৌরবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। সুযোগ করে দিয়েছেন মানুষের সেবা করার। তাই মহান আল্লাহপাকের ইচ্ছায় পৌরবাসীর এই দুঃসময়ে কিছুটা হলেও পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের তালিকা করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে আমাদের সবাইকে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে থেকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More