মেহেরপুর হাসপাতালে রোগীর স্বজনেরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না

স্টাফ রিপোর্টার: ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০টি শয্যা। শনিবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১৪ জন। বাকি শয্যাগুলো ফাঁকা। ভর্তি থাকা রোগীর স্বজনদের ভিড় ইউনিটের পাশে জরুরি বিভাগের সামনে। সকালে এমন অর্ধশতাধিক স্বজনের দেখা যায়। যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন মাস্কবিহীন। ছিল না সামাজিক দূরত্বও। জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হারেজন বেগম। তাঁর এক স্বজন করোনায় আক্রান্ত। হারেজন ছিলেন মাস্ক ছাড়া। বলছিলেন, এখানে তো কারও মুখেই মাস্ক নেই। প্রয়োজন পড়লে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে নেয়া হয়।

হাসপাতালে ভিড় করা স্বজনদের যখন এই অবস্থা, তখন করোনা ইউনিটে কষ্টে ছিলেন আক্রান্ত রোগীরা। বিশেষ সতর্কতা মেনে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরে শুয়ে রোগীরা। গত মাসে একটি অক্সিজেন সরবরাহকেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। একটি শয্যায় শুয়ে ছিলেন নার্গিস আক্তার। তিনি বেশ অসুস্থ বলে জানান তার স্বামী লিয়াকত হোসেন। লিয়াকত বলেন, মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে রাখলেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। চিকিৎসকেরা বারবার ওষুধ পরিবর্তন করে পর্যবেক্ষণ করছেন। করোনা ইউনিটের চিকিৎসক আফরিন আক্তার বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার কোনো ঘাটতি নেই। শুধুমাত্র রোগীদের স্বজনেরা হরহামেশা আসা-যাওয়া করছেন। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি আরোপের পরও তাদের আনাগোনা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ইউনিটে সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য মেডিকেল কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। নার্সদের পাশাপাশি তারাও তৎপর। তবে চিকিৎসক সঙ্কট আছে। সাধারণ রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টও চলমান।

মেহেরপুর সীমান্তবর্তী হওয়ায় অন্য জেলাগুলোর তুলনায় ঝুঁকি বেশি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, মুজিবনগরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভারতীয় নাগরিকদের আবাদি জমি আছে। তাঁরা প্রতিদিন কৃষিকাজ করতে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এতে করে মুজিবনগর এলাকার বাসিন্দারা বেশি করোনার ঝুঁকিতে আছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More