সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

একনেকে বৈঠকে দুই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন : স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ
স্টাফ রিপোর্টার: দেশের সব জেলা হাসপাতালে এবার আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে অবশ্যই একটা করে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেকটা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন, প্রত্যেকটি হাসপাতালে যেন ভেনটিলেটর স্থাপন, যথেষ্ট পরিমাণ উচ্চমাত্রার পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা যেন আরও বৃদ্ধি করা হয়’। এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।” ছয় বছর আগে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন হচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছিলেন। তবে পরে দৃশ্যমাণ কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছিলো না। বর্তমানে সাবেক ওই স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির অর্থায়নে দুটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। এই দুই প্রকল্প সরকার প্রধানের নির্দেশে আগে অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। বৈঠকে ওই দুই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।” অনুমোদন পাওয়া দুই প্রকল্পের একটি হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স (এডিবি-জিওবি)’ প্রকল্প। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পটির আওতায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সুযোগ বাড়ানোও এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এছাড়াও এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংক্রমক রোগ বিভাগ, জেলা পর্যায়ে এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম ফর ইম্যুনাইজেশন (ইপিআই) ইউনিট এবং সব সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি হাসাপাতালে ইনফেকশন প্রিভেনশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যত মহামারীর জন্য পিসিআরসহ আধুনিক মাইক্রো-বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির স্থাপন করা হবে। রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের তিন হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More