ইসলাম রকিব: চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। এ আমেজকে আরো আনন্দঘন করতে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন আয়োজন করলেন পিঠা উৎসবের। গতকাল শনিবার বাদ আছর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্কের সম্মেলন কক্ষে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক। এরপর চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকগণ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাগণের সাথে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন পরিচিত হন। পরিচয় পর্ব শেষে বুফে সিস্টেমে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিজ বাসায় তৈরি ৪ ধরনের পিঠা এবং ৪ চার ধরনের চাটনি/ভর্তা নিয়ে সাংবাদিকগণ ও পুলিশ কর্মকর্তারা পিঠা খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠেন। ৪ ধরনের পিঠার মধ্যে ছিলো চিতই পিঠা, সবজি পাকোড়া, ভাপা পিঠা ও মজাদার পাটিশাপটা। এ পিঠাগুলোর সাথে দেয়া হয় ৪ ধরনের চাটনি বা ভর্তা। সেগুলো হলো শুটকি ভর্তা, সরিষা বাটা, ঝাল ভর্তা ও ধনেপাতা ভর্তা। আনন্দঘন পরিবেশে পিঠা খেয়ে ঢেকুর তুলতে তুলতে অতিথিবৃন্দ পিঠা উৎসবের আলোচনায় মেতে ওঠে। আলোচনাসভার মধ্যমণি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে পুলিশ কিংবা সাংবাদিক হলেও বেলা শেষে আমরা কিন্তু সবাই মানুষ। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে পেশাগত কার্যক্রমের বাইরেও যে আরো ঘনিষ্ঠতায় কাছাকাছি আসা যায় সেটি মাথায় রেখেই আজকের এ আয়োজন। এ আয়োজন উপলক্ষে পিঠা উৎসব হলেও মূল বা মূখ্য উপলক্ষ হলো ঘনিষ্ঠতার বন্ধনে আরো কাছাকাছি আসা। আলোচনাসভায় পিঠা উৎসব সম্পর্কে প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক-প্রকাশক সরদার আল আমিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মুন্না বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মানিক আকবার, জান্নাতুল আউলিয়ার নিশি, রফিকুল ইসলাম, এম এ মামুন, ইসলাম রকিব, আবুল হাশেম, রুবায়েত বিন আজাদ সুস্থির প্রমুখ।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ