উপজেলায় প্রার্থীদের খরচ বাড়িয়ে ২৫ লাখ করতে চায় ইসি

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পাঁচগুণ বাড়িয়ে ২৫ লাখ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় সংশোধনী আনতে আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি করেছে ইসি। কমিটির সভাপতি নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। এরই মধ্যে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে দুই দফা বৈঠক করেছে কমিটি। কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি কমিটি। ইসি সূত্র জানায়, ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবিত খসড়ায় সংশোধনী তালিকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান বা মহিলা সদস্য পদে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় ‘ভোটারের সংখ্যানুপাতে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ এবং ব্যক্তিগত খরচ ও নির্বাচনী ব্যয় পৃথকভাবে উল্লেখ করার বিধান বাতিল করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিধিমালার বিধি ৫২ এর দফা (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত ‘ব্যক্তিগত খরচ ব্যতীত শব্দগুলো বাদ দেয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেয়ার বিধান রাখতে চায় তারা। ইসি সচিবায়লের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে প্রস্তাবিত খসড়া তালিকা চূড়ান্ত হলে একাধিক বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা আগে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমতি পেলেও এখন থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। যদিও বাস্তবে মাঠ পর্যায়ে তারা এর চেয়েও কয়েকগুণ টাকা বেশি ব্যয় করে বলে জানা যায়। নির্বাচন বিধিমালায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা কোনো রাজনৈতিক দল উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী ব্যয়সহ, প্রার্থীর মনোনয়ন প্রদান সাপেক্ষে একজন প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনের জন্য পাঁচ লাখ টাকার অধিক ব্যয় করতে পারবেন না। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দল ২০ হাজার টাকার অধিক পরিমাণের কোনো আর্থিক চেক ব্যতীত গ্রহণ করতে পারবেন না। ইসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর সংশোধনীতে ২৬টি এবং উপজেলা প্রদত্ত পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর সংশোধনীতে ৮টি বিধান সুপারিশের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির সভাপতি নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি আবারও বৈঠকে বসে এই কমিটি। ওইদিনও খসড়া চূড়ান্ত না হওয়ায় সংশোধনগুলো এখনো আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। খসড়া তালিকা চূড়ান্ত হলে পরে কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More