নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ আজ : নির্বাচনের তফশিল আগামী সপ্তাহে

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন বাকি তফশিল ঘোষণাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা। তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকে নির্বাচন কমিশন। ওই রেওয়াজ অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনার। আগামী সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। জানুয়ারির প্রথম দিকে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বুধবার জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটসংক্রান্ত প্রচার শুরু করেছে কমিশন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তার সারসংক্ষেপ জানাবে কমিশন। ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা দিলে তা শুনবে কমিশন। এরপরই আগামী সপ্তাতে কমিশন সভা করে নির্বাচনের তফশিল চূড়ান্ত করবে ইসি। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফশিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ওই ভাষণ সম্প্রচার করবে। ওই ভাষণে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাবেন সিইসি। ওই ভাষণে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন আয়োজন করছেন বলেও উল্লেখ করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তফশিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারিতে শেষ হবে। এই হিসাবে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করতে যাচ্ছে কমিশন। যদিও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছে। এই ইস্যুতে অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানিয়ে আসছে। তবে তাদের ওই দাবি আমলে নিচ্ছে না ইসি। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ভোটগ্রহণে অনড় কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিব গতকাল বুধবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধের যে কোনো দিন তফশিল ঘোষণা করা হতে পারে। সে হিসাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা নিয়ে এখনো কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। ১২-১৪ নভেম্বরের মধ্যে তফশিল ঘোষণা করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তা গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে তার সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনি মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে সচিব বলেন, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘেœ যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে। নির্বাচনি প্রচার শুরু : আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহিত করতে প্রচার চালাবে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের ফেসবুক পেজে ওই প্রচার শুরু করেছে। ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম সেসব ভোটাররা এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, ওই সময়ের পরে যাদের জন্ম তাদের পরিচয়পত্র থাকলেও তারা ভোট দেয়ার যোগ্য হবেন না। নির্বাচনে ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার প্রয়োজন হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More