স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে

মেহেরপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী

মেহেরপুর অফিস: ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ লক্ষ্যে সরকারের নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। গতকাল শনিবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, সরকারি দপ্তরের প্রতিটি বিভাগের এপিআই আছে। আমরা যথাযথভাবে এপিআই মূল্যায়ন করছি। সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছি। এপিআই মূল্যায়নে মেহেরপুর জেলার সকল সরকারি কার্যালয় সবার সেরা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। বক্তৃতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো এজেন্ডা নাই। সব কাজ দেশের জন্য, মানুষের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য। দ্বিতীয় টা হচ্ছে-আমি যে কাজটি করি সেটি শতভাগ নিষ্ঠার সাথে করার চেষ্টা করি। আমাদের পিতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন আমাদের ভালো রাখার জন্য। অনেক মুক্তিযোদ্ধা জীবন দিয়েছেন যাতে একটি উন্নত দেশে আমাদের সন্তানের মাথা উঁচু করে চলতে পারে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে প্রধান কাজ হচ্ছে দেশকে এগিয়ে নেয়া। সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকের এই বাংলাদেশ এবং ১৫ বছরের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ। আমাদের অনুপ্রেরণা আর দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এই পাঁচটি বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত সুখী সুন্দর বাংলাদেশর জন্য সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান মন্ত্রী। সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামিম হাসান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচায্য, মেহেরপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুম মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আফতাব আলী খান প্রমুখ। এর আগে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে সর্বপ্রথম মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, মেহেরপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবিউল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা হীরা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম কুমার সাহা, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, এনএসআই’র ডিডি মিজানুর রহমান, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. একেএম নজরুল কবীর, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহসিন আলী আঙ্গুর, জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত, মৎস্য কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজি কাদের মো. ফজলে রাব্বি, র‌্যাব কমান্ডার মনিরুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলসী কুমার পাল, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, জেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আফতাব আলী খান, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুল হক মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক প্রমুখ। এছাড়া মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষে পৃথক পৃথকভাবে ফুলের তোড়া প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গেলো সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফল দায়িত্ব পালনের পর এবার মন্ত্রী সভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেরপুুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন। তিনি জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে এসে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More