জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৫৯ ভরি ওজনের প্রায় ২ কেজি সোনার ৪টি ফ্লাট বারসহ ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার শাহাপুর-রায়পুর সড়কের শাহাপুরে সোনা উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই সোনা চোরাচালানি আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানা রাতেই হাসপাতালের লবিতে এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশসত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার রায়পুর-শাহাপুর সড়ক দিয়ে সোনার একটি চালান পাচার করা হবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের ওসি পুলিশ ইন্সপেক্টর আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে নামে। রাত ৮টার দিকে টিমটি শাহাপুরে অভিযানে যায়। এ সময় সন্দেহভাজন দুই জনকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তারা হাতে থাকা হেঁসো নিয়ে ডিবির দুই সদস্যকে হামলা করার চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তিকালে দুই স্বর্ণ চোরাচালানীরা তাদের হাতে থাকা হেঁসোর আঘাতে আহত হয়। এ সময় ডিবি পুলিশ একটি প্যাকেটসহ তাদেরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেয়। আটককৃতরা হচ্ছে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঘুগরাগাছি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে আনসার বাহিনীর সদস্য মাজহারুল ইসলাম খান পল্টু (৩২), বাড়ান্দী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে রায়পুর মাধ্যমিক বিদালয়ের দপ্তরী শাহাবুদ্দিন খান (৩৬) ও ঘুগরাগাছি গ্রামের হাশেম খানের ছেলে আছির উদ্দিন মাস্টার (৪২)।
রাতেই হাসপাতালের লবিতে সাংবাদিকদের সামনে উদ্ধারকৃত প্যাকেটটি খোলা হয়। প্যাকেট হতে ৪টি সোনার বার পাওয়া যায়। যার ওজন ১৫৯ ভরি বা ১কেজি ৮০০ গ্রাম। বর্তমান যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বলে সার্কেল এএসপি (দামুড়হুদা) জাকিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধাসহ পুলিশ ও ডিবির কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।