নেশার টাকার জোগাতে বেপরওয়া ৪ যুবকের কূকীর্তি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: উঠতি বয়সীদের অনেকেই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে এরা বড়ধরণের অপরাধমূলক ঘটনাও ঘটিয়ে বসছে। ঝিনাইদহে এক নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে যে যুবকরা টাকা দাবি করে তারাও নেশার টাকার জন্যই এ অপকর্ম করেছে বলে স্বীকার করেছে। এদের স্বীকারোক্তিমূলক জবাবন্দী কার্যবিধির ১৬৪ ধরায় রেকর্ড করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যারা দিয়েছে তারা হলো= ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মহিষাকুণ্ডু গ্রামের মৃত হারুন মুন্সীর ছেলে সানি মুন্সী (২৩), ইসাহাক আলীর ছেলে শাওন হোসেন (২৪), নুরুল আমিনের ছেলে মারুফ বিল্লাহ (২৫) ও চাকলাপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে সোহান হোসেন (২৫)।

বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাদের। শুক্রবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিনা্পইদহ পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য ভিডিও ধারণ করে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায় বলে ওই চার যুবক আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, চলতি মাসের ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় শহরের চাকলাপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া জনৈক ইলেকট্রিক মেকানিকের বাসায় বাজার দিতে যায় তার এক কিশোর সহকারী। ইলেকট্রিক মেকানিকের স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিতেই অতর্কিতভাবে ঘরে ঢুকে পড়ে ৪ যুবক। ভিকটিমের কিশোরী মেয়েকে পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে বাজার দিতে আসা কিশোর সহকারী ও ভিকটিমকে জোর করে বিবস্ত্র করে ছবি তোলে এবং ভিডিও ধারণ করে। এক পর্যায়ে মারপিট করে ভিকটিম ও কিশোর সহকারীকে আপত্তিকর কাজ করার জন্য জোর করে। তারা রাজি না হওয়ায় প্রথমে সানি ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে এবং অন্যরা তাকে সহযোগিতা করে এবং ভিডিও করতে থাকে। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য বখাটে ওই ৪ যুবক ধারণ করা ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ওই নারী স্বামীসহ গোপনে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনা খুলে বলেন। তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।
গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল নানা কৌশলে অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুইজনকে এবং তাদের দিয়ে ফোন করে অপর দুইজনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় ধারণ করা ছবিসহ ভিডিও এবং ৪টি মোবাইল সেট। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

Comments (0)
Add Comment