গাংনীতে দু’সহোদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একটি পরিবার
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর কলেজপাড়ায় দু’সহোদর শরিফুল ও শফিউলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার। বাড়ির সামনে অবৈধ পাঁচিল ও খড়ির ঘর নির্মাণের ফলে পরিবারটি গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বৈদ্যুতিক সংযোগ না দিতে পল্লী বিদ্যুত অফিসারদেরকেও চাপ দেয়া হচ্ছে। ফলে অসহায় পরিবারটি অন্ধকারে বসবাস করছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়রকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় নানা সমালোচনা চলছে সচেতনমহলে। অনেকেই বলছে, ওই সহোদরের খুঁটির জোর কোথায়?
জানা গেছে, গাংনীর কলেজপাড়ার বাসিন্দা কাকলী খাতুন বছর ত্রিশেক আগে ৬ শতাংশ জমির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। সেসময় কিছুদিন সে বাড়িতে বসবাস করার পর বাড়িটি তালাবদ্ধ করে ঢাকাতে যান। বছর দশেক আগে বসতবাড়িটি বেসরকারি বিদ্যাপীঠ লাইসিয়ামকে ভাড়া দেন। এরপর লাইসিয়াম বিদ্যালয়টি স্থানান্তর হলে কাকলী আবারো বসতভিটায় ফিরে আসেন। সম্প্রতি ওই দু’ভাইয়ের রোষানলে পড়েছেন বাড়ির মালিক কাকলী খাতুন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি যে পথ দিয়ে যাতায়াত করতাম সেই পথটি পাঁচিল নির্মাণ করেন শরিফুল। সেই সাথে নির্মাণ শুরু করেন একটি খড়ির ঘর। ফলে কাকলীর পরিবারের লোকজনের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে যায়।
কাকলী খাতুন আরও জানান, দু’ভাই শরিফুল ও শফিউলকে বারবার অনুরোধ করেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি গাংনী পৌর মেয়র ও প্রাক্তন ওসি ওবাইদুর রহমানকে জানানো হলে পুলিশ ও পৌর মেয়র কাজ বন্ধ করে দেন। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানেরও আলোচনা চলছিলো। ওবাইদুর রহমান বদলির পর থেকেই আবারও শরিফুল ওই পথে পাঁচিল দেয়া ছাড়াও খড়ির ঘর নির্মাণ করছেন। নির্মাণকাজ বন্ধ করতে বললে শরিফুল ইসলাম জানান, পৌর মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়ছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষকে নিয়ে বসার কথা রয়েছে এবং নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তাহলে কোন শক্তির বলে তারা পাঁচিল নির্মাণ করছেন? এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনার ঝড়।