চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্রে পূর্বশত্রুতার জেরে ধরে মারামারি : আহত ২

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের শঙ্করচন্দ্র গ্রামের ম-লপাড়ার মৃত আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনকে (৩৮)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শঙ্করচন্দ্র ম-লপাড়ার মজনুর দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে হেলালের আত্মীয় স্বজনেরা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র মন্ডল পাড়ার মৃত আজম আলী সাবেক মেম্বরের ছেলে ও আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পের শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ীর পাশে মজনুর চায়ে দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে মৃত মোজাম আলীর ছেলে মোস্তফার নেতৃত্বে মৃত আজির আলীর ছেলে বজলু, মৃত মাদার আলীর ছেলে মফিজ উদ্দিন, শফিজদ্দিন, আব্দুল্লা আল মামুন (আর্মি), উজ্জল, খোকাই মন্ডলের ছেলে সোহরাব, সোহরাবের ছেলে খালিদ, ইদ্রিস আলীর ছেলে আবু বকর, আনিসুরের ছেলে আছিফ কোন প্রকার কথা ছাড়াই লাঠি সোটা নিয়ে হেলালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় হেলালের মাথায়, হাতে ও পিঠে ও পুরুষাঙ্গে মারাত্মক জখম হয়ে দোকানের সামনেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও হেলালের আত্মীয় স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মোস্তফার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার ভাইয়ের বউরা বাড়ির সামনে মাচালে বসেছিলো। হেলার পাশ দিয়ে যাবার সময় তাদের উদ্দেশ্য শিষ ও অশ্লীল কথা বলে। মেয়েরা বাড়িতে গিয়ে বললে মোস্তফার ভাইদের সাথে কথা কাটির এক পর্যায়ে হেলাল বাস দিয়ে বজলুর গায়ে আঘাত করে। বজলু বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
উল্লেখ্য গত এক বছর আগে হেলালদের সাথে মোস্তফাদের মারামারি হয়। এ সময় হেলাল বাদী হয়ে প্রতিপক্ষদের নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ করেছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More