দর্শনার পরানপুর স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বাকবিতণ্ডা : দুই যুবককে কুপিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দর্শনার পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করে দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে পরানপুর মাদরাসার পাশে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পরানপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার লিটন হোসেনের ছেলে আসমাউল হক (২০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের হানুরবাড়াদি গ্রামের কাজিপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে রুহুল আমিন (২২)। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন দর্শনার পরানপুর গ্রামের শান্তিপাড়ার লিটনের ছেলে ইমরাম (২২) ও একই এলাকার মাসুদুল কবিরের ছেলে নাইম (২০)।
আহত রুহুল আমিন বলেন, আমি টাকার বিনিময়ে যে কোন অনুষ্ঠানে ড্যান্সার (নাচ) করি। গতকাল আমন্ত্রণ পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে পরানপুর গ্রামের দুইপাড়ার ছেলেদের মধ্যে কোনো বিষয়ে বিরোধ হয়। পরে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি আসমাউল হকের সাথে স্কুল থেকে বের হয়ে মাদরাসার দিকে আসি। এসময় ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের দুজনকে বেধড়ক মারপিট করে এবং কুপিয়ে জখম করে। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তারা আমাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ জানায়, গতকাল পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে দিনব্যাপি বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান চলছিলো। সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরানপুর শান্তিপাড়ার কিছু ছেলেরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। এসময় স্কুলপাড়ার ছেলেরা তাদের প্রতিবাদ করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় এবং বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
এদিকে পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই স্কুলপাড়ার অভিযুক্তরা পরানপুর মাদরাসার নিকট রুহুল আমিন ও আসমাউল হককে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, দুজনের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের জখমের আলামত পাওয়া গেছে। একজনের তিনটি ও অপরজনের একটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, স্কুলে বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। পরে এরই জের ধরে দুজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। এঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More