প্রকাশ্য দিবালোকে কুষ্টিয়ায় বাড়ি জবর-দখলের অভিযোগ

ভুক্তভোগী পরিবারে ভয়-আতঙ্ক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মালিকানা দাবি করে কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ার একটি বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মালিকানার কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই শনিবার প্রকাশ্য দিবালোকে অসহায় ওই পরিবারটিকে টেনেহিঁচড়ে মালপত্রসহ বের করে দেয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবারটি বর্তমানে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কুষ্টিয়া শহরের ২৯, এনএস রোডস্থ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন দেওয়ান নাসির উদ্দিন ও তার পরিবার। কিন্তু গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দেওয়ান আরিফুল ইসলাম পলাশ নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় ৮-১০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে নিয়ে জোরপূর্বক নাসির উদ্দিনের দ্বিতীয় তলার কক্ষে প্রবেশ করে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের বের করে দেন। সমস্ত আসবাবপত্র নিচতলায় ছুঁড়ে ফেলে তারা। বাধা দিতে গেলে দেওয়ান নাসির উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন দেওয়ান আরিফুল ইসলাম পলাশ ও তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া মিলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তাপস কুমার পাল ও এসআই আসাদ ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। বাড়ির মালিক দেওয়ান নাসির উদ্দিন বলেন, ‘পৈতৃকসূত্রে পাওয়া বাড়িতে আমরা দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। কিন্তু দেওয়ান আরিফুল ইসলাম পলাশ জোরপূর্বক আমার দ্বিতীয়তলার কক্ষ দখলে নিয়ে বসবাস করতে চান।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় গত ২১ অক্টোবর বৈঠকে শান্তিপূর্ণ সমাধান হলেও হঠাৎ করেই শনিবার সকালে দেওয়ান আরিফুল স্বদলবলে আমার বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক আমার পরিবারের সদস্যদের বের করে দেন। বাড়ির আসবাবপত্র দ্বিতীয়তলা থেকে নিচতলায় ছুড়ে ফেলেন।’ ঘরে থাকা নগদ ৮৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকারও লুট করে নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্ত দেওয়ান আরিফুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘নাসির উদ্দিন আমাদের শরিক। যে কক্ষ আমি দখলে নিয়েছি, তাতে আপাতত পরিবার নিয়ে থাকতে চাই। তাই বলে জোরপূর্বক একটি পরিবারকে উচ্ছেদ করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সদোত্তর দিতে পারেননি।’ কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। দুজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। আরিফুল ইসলাম যে কাজটি করেছেন, ঠিক করেননি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More