বাল্যবিয়ে রোধ ও সঞ্চয় গঠনের মানসিকতার লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘উন্নত পল্লী উন্নত দেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ’ এ সেøাগানকে ধারন করে চুয়াডাঙ্গায় কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দরিদ্র মহিলাদের জন্য পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পের আওতায়  বাল্যবিয়ে রোধ ও সঞ্চয় গঠনের মানসিকতার লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলার নীলমনিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন  চুয়াডাঙ্গায় বিআরডিবির উপ- পরিচালক আব্দুল আলীম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার এ কে এম আমিনুল ইসলাম পলাশ, মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন। সহকারী প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার রফিকুল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকম-লী। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্তৃক বাস্তবায়িত দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প (ইরেসপো)-২য় পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা বলেন, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ে ১০০ ছাত্রীকে নিয়ে একটি কিশোরী সংঘ গঠন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরে এ রকম দুটি বালিকা বিদ্যালয় বেছে নেয়া হয়েছে। কিশোরী সংঘ গঠনের মূল উদ্দেশ্য বাল্যবিয়ে রোধ ও সঞ্চয় গঠনের মানসিকতা তৈরি করা। বাল্যবিয়ের কুফল, আত্মহত্যার কুফল, নেশার কুফল সর্ম্পকে আলোচনা করেন। কিশোরী সংঘের প্রতিটি সদস্য ৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে সঞ্চয় করবে। মেয়াদ শেষে সরকার তাদেরকে জমাকৃত টাকার ডাবল বোনাস দিবে। শর্ত হচ্ছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে করলে এ সুযোগ দেয়া হবে না। এছাড়াও সদস্যদের নিয়ে ১ মাস পরপর একটি করে সচেতনামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরী সংঘ গঠনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সেই সাথে এবং প্রশিক্ষণ শেষে ছাত্রীদের মাঝে নাস্তা ও উপহার সামগ্রী হিসেবে একটি স্যানিট্যারি ন্যাপকিন, খাতা ও কলম বিতরণ করেন। উপহার সামগ্রী হাতে পেয়ে কিশোরী সংঘের ছাত্রীরা ভীষণ খুশি। তারা কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এমন সুন্দর একটি প্রকল্প চালূ করার জন্য। সেই সাথে ধন্যবাদ দেন ইরেসপো প্রকল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাদের সহযোগিতায় তারা এমন সুন্দর একটি সংঘের সদস্য হতে পেরেছে। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা কিশোরী সংঘের ১০০ সদস্যের মাঝে উপহার সামগ্রী একটি স্যানিট্যারি ন্যাপকিন, খাতা ও কলম বিতরণ করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More