মেহেরপুর অফিস: দিনে গরম, রাতে শীত। ভোরের দিকে বয়ে চলা শীতল বাতাস আর ঘাসের ওপর শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। বছর ঘুরে তাই আবার ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোশক ব্যবসায়ী ও কারিগরদের। মেহেরপুরের তিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরেও দেখা গেছে লেপ-তোশকের কারিগরদের কর্মব্যস্ততা। শীতে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর কাঁচামাল মজুতের পাশাপাশি তা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার হাজার খানেক লেপ-তোশকের দোকানি, শ্রমিক ও ধনুকাররা।
লেপ ব্যবসায়ী মহাসিন আলী বলেন, ‘এক-দেড় সপ্তাহ হবে লেপ-তোশকের অর্ডার পাওয়া শুরু করেছি। এই বছর থান কাপড়, তুলা ও সুতোর দাম বেশি। তাই গত বছর যে লেপ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ টেকা আর সেই লেপ এবার বিক্রি করছি এক হাজার ৭০০ টেকা কইরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একজন ধনুরি সারাদিনে পাঁচটা থেকে ছয়টা লেপ বানাতে পারি। লেপপ্রতি ২০০ টাকা করে মজুরি পাই। শীতকাল শুরু হলেই আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। ‘শীতের তিন মাসের সিজনে ৬০০ থেকে ৬৫০টি পর্যন্ত লেপ বানিয়ে থাকি। আর বছরের বাকি সময়টায় অন্য সব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি।’
আরেক ধনুকার জেকের আলী বলেন, ‘আমাদের এখন কাজকাম ভালো। মালের দাম একটু বেশি। প্রতিদিন আট-দশটা কইরি লেপ বানাই। তবে আমাদের হাজরি কম।’
জাজিম ও তোশকের কারিগর সোহেল রানা বলেন, ‘আমি সারা দিনে চার থেকে পাঁচটি জাজিম বানাই। একটা জাজিম বানালে ৩০০ টাকা করে মজুরি পাই। শীতকাল আসলে কাজের চাপ বেশি থাকে।’
জেলার অন্যতম লেপ-তোশক ব্যবসায়ী তৌকির বেডিং হাউসের মালিক শফি আহমেদ বলেন, ‘১০ দিন মতো হবে আমরা লেপ বানানোর কাজ শুরু করেছি। এখন অল্প অল্প করে শীত পড়ছে। যতো বেশি শীত পড়বে আমাদের লেপের ততো বেশি চাহিদা বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু লেপের ব্যবসা তিন মাসের। তাই এমন সময় আসে, আমরা অর্ডার নেয়ার সাতদিন পরও মাল ডেলিভারি দিতে হয়। তাই এখন থেকেই সেই প্রস্তুতিতে মাল বানিয়ে মজুত রাখার চেষ্টা করছি। যাতে সিজনের সময় সহজেই কাস্টমারের হাতে মাল তুলে দিতে পারি।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
মেহেরপুরে ক্ষেতই বিক্রি হচ্ছে নরম ও সুমিষ্ট ফিলিপাইনী গেণ্ডারি
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ