সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে

আলমডাঙ্গায় স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশন পরিদর্শনকালে থানার ওসি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটালেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলমডাঙ্গার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, ফিরোজ ইফতেখার, প্রশান্ত বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম  রোকন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রহমান মুকুল ও প্রধান উপদেষ্টা আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন। থানার ওসি সাইফুল ইসলাম স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ ও ঈদের পোষাক তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, সমাজের একটা বড় অংশকে অবহেলিত রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমাজের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেলে সমাজ তথা দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত ও সুনাগরিকে পরিণত করে সমাজের মূলধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তিনি সমাজের সামর্থবানদের এ ব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ আলম মন্টু বলেন, যাদের সামর্থ আছে, তাদের উচিত সমাজের অবহেলিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ভাগ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। তাদেরকে উন্নয়নে স্রােতে নিয়ে আসা। আজকের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা একদিন উন্নয়নের মূল স্রােতধারাকে বেগবান করে তুলবে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।  স্বপ্নঘর ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া ও শিক্ষক নাফিজা শর্মির সঞ্চালনায় আনন্দঘন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্যে অতিথিদের মাতিয়ে রাখেন। পরে ওসি আলমডাঙ্গার স্বয়ম্ভর লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More