আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দলের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো দেশী অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃত ডাকাত সদস্য পৌর এলাকার সোনাপট্টির সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুমন (৪৫)। ডাকাত সদস্য সুমনের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, আলমডাঙ্গায় হঠাৎ ভ্যান চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনা বেড়ে গেছে। রাতের আধারে সাধারণ মানুষের ভ্যানে যাত্রী সেজে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এ কারণে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে। দিনে ও রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পৌর শহরে টহল দিচ্ছিলো।
এ সময় রাত আড়াইটার দিকে পৌর শহরের রেল স্টেশনের মন্দিরের নিকট তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। পুলিশ তাদের দাঁড়াতে বললে তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় সুমন নামের ডাকাত সদস্য পড়ে গেলে আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শরিয়তুল¬াহ, উপ-পরিদর্শক এসআই সুমন্ত সাহা সুমনকে আটক করে। ডাকাত সদস্য সুমনকে পুলিশের নিকট থেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য ইট দিয়ে পুলিশের দুই এসআই’র ওপরে হামলা করে। এতে দুজন এসআই গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দুই এসআইকে উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্য-কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। আটক করা হয় ডাকাত দলের সদস্য সুমনকে।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে পুলিশি টহল চলছিলো। স্টেশনের মন্দিরের নিকট পুলিশ পৌঁছুলে ডাকাত সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। তিনি আরো বলেন, ডাকাত সদস্য সুমনকে আটক করা হয়েছে। তাকে ছাড়ানোর জন্য ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই এসআই আহত হন। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।