জীবননগরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পৌর এলাকার দোয়ারপাড়ার ফেরদৌসি খাতুনের পক্ষে আল মামুন রনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর গতকাল শনিবার এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে।

শহরের কাজিপাড়ার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিক আল মামুন রনির অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার আত্মীয় ফেরদৌসি খাতুনের (৫০) আরবিএস পরীক্ষার জন্য অংকন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেন। আরবিএস পরীক্ষার জন্য রোগীর শরীর থেকে ব্লাড নেয়া হয়। আধাঘন্টা পর রিপোর্ট দেয়া হয়। রক্তে তার গ্লুকোজের পরিমাণ ধরা পড়ে ১৪.৩। পূর্বে তার কোনো ডায়াবেটিকস না থাকায় তিনি একই ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষা করান। এ পরীক্ষায় তার এইচবিএওয়ানসি ধরা পড়ে ৯.৪। এ পরীক্ষা দুটি করতে তার নিকট থেকে ৮শ’ টাকা ফিস নেয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং শহরের একটি ফার্মেসি হতে ওষুধ কেনেন। রোগীর সন্দেহ হলে ওই ফার্মেসি হতে তিনি স্টিপ দিয়ে অটো মেশিনে ব্লাড সুগার ক্রস চেক করেন। তার ব্লাডে গ্লুকোজের পরিমাণ ধরা পড়ে ৭.৪। এ রিপোর্টে তার সন্দেহ আরো বেড়ে গেলে তিনি পাশের ফার্মেসি হতে আবার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে একই রেজাল্ট পান। পরীবর্তীতে তিনি অধিকতর পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল গেটের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে আরবিএস পরীক্ষা করে রেজাল্ট পান ৭.৮। সর্বশেষ মনোয়ারা সনো সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা করে রেজাল্ট পান ৫.৪। এ সকল রেজাল্ট নিয়ে অংকন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেন টেকনিশিয়ান মানিক পরীক্ষা ছাড়াই তার মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি ক্ষমা চেয়ে পরীক্ষা বাবদ নেয়া ৮শ’ টাকা ফেরত প্রদান করেন। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে পরীক্ষা ছাড়াই এমন ভুল রিপোর্ট প্রদান করে রোগীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে অভিযোগ এনেছেন অভিযোগকারী আল মামুন রনি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More