পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বের করে দিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন

স্টাফ রিপোর্টার: পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন কর্মশালার সভাপতি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম.মারুফ হাসান। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে। সাংবাদিকদের নিয়ে সিভিল সার্জনের এ ধরনের ঔদ্দত্যপূর্ণ আচরনে ক্ষুব্দ হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচির নেতৃত্বে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এরই প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা সিভিল সার্জনের ঔদ্দত্যপূর্ণ কুরুচিকর আচরনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে ক্লাব সম্পাদক জানান।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি জানান, নির্ধারিত সময়ে তিনি ক্লাব সভাপতির পরিবর্তে কর্মশালায় উপস্থিত হন। সেখানে ওই কর্মশালার সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন শেষে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান তার মুখের কাছে মাইক টেনে নিয়ে বলেন, ‘এ কর্মশালার জন্য সরকারি কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এখানে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শুধু থাকবেন। অন্য সাংবাদিরা এখান থেকে বেরিয়ে যান।’ সিভিল সার্জনের এ কথা শেষে তিনি এর প্রতিবাদে বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাসহ অন্যান্য সভায় উপস্থিত হয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে থাকেন। সেখানে কোনো বাধা আসে না। কিন্তু আপনি এর ব্যপ্তয় ঘটিয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন। এটুকু বলেই তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি আরো জানান, এ কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন না। ২০ জনের অংশ গ্রহণের কথা থাকলেও সেখানে ৮জন অংশগ্রহণ করেন। রিসোর্স পার্সনদের ৫ হাজার ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের ৩ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন জানালেও উপস্থিতির স্বাক্ষরের ঘরে কোনো টাকার পরিমাণ লেখা ছিলো না। কর্মশালার নামে সরকারের টাকা লোপাটের জন্যই সাংবাদিকদের উপস্থিতি সিভিল সার্জন মেনে নিতে পারেনি বলে প্রতীয়মান।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, এ কর্মশালায় ১৭-১৮ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রাপ্য সম্মানী বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More