স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় কর্মসূচি গ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় পৌরসভার সচিব এসএম রেজাউল করিম, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ছারোয়ার সিদ্দিক, প্যানেল মেয়র-১ সুলতানা আরা আঞ্জু রত্না, প্যানেল মেয়র-২ উজ্জ্বল হোসেন, প্যানেল মেয়র-৩  ফরজ আলী শেখ, কাউন্সিলর মুনছুর আলী, আব্দুল আজিজ জোয়ার্দ্দার, মহলদার ইমরান, কামরুজ্জামান চাঁদ, শেফালী খাতুন, শাহিনা আক্তার, ও টিকাদার সুপারভাইজার আলী হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তুতিমূলক সভায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, ছাত্র-ছাত্রী এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্পৃক্ত করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  ৩ মার্চ বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন নির্দেনা সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে ১ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য / পৌর কাউন্সিলর/ ওয়ার্ড কমিশনারের নেতৃত্বে দেশের সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। ২ মার্চ দেশের সকল উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ৩ মার্চ দেশের সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে অনুষ্ঠান করবে। ৫ মার্চ দেশের সকল জেলা পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

এ সকল অনুষ্ঠানে আবশ্যিকভাবে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। নির্ধারিত তারিখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও বীরত্বগাঁথা, মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের সাফল্য এবং উন্নয়নের তথ্যচিত্র তুলে ধরে ব্যাপক প্রচার করতে হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More