কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: গলায় কাটা দাগ- পায়ের গোড়ালীতে আঘাতের চিহ্ন। ঝুলে আছে ওড়নায়। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? চলছে নানা গুঞ্জন। পরিবারের দাবি হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে আসল ঘটনা। এদিকে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামে। আরিফা খাতুন সোমা নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর গ্রামবাসী লাশ নিয়ে কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাস্টস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। নিহত আরিফা খাতুন সোমা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন। মরদেহ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছুলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এসময় গ্রামবাসী বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মানববন্ধনে বক্তারা, অচিরেই গৃহবধূ আরিফা খাতুন সোমা হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্ত শাস্তি ও তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম যেন বিদেশে পালাতে না পারে সেই দাবি করেন।
ঝিনাইদহের কাষ্টসাগরা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ আরিফা খাতুন সোমাকে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ করা হয়। গত শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকে ফরিদুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।