আবাদি জমি রক্ষার্থে প্রয়োজন পরিকল্পিত বাসস্থান

ম্যাক্সিম এগ্রো’র কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হামিদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: “ভাইয়ে ভাইয়ে ভূমি ভাগাভাগি হলেও আবাদি জমি রক্ষার্থে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে পরিকল্পিত ও যৌথভাবে একই স্থানে। প্রয়োজনে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। এতে যেভাবে আবাদি জমি গ্রাস হচ্ছে তা রক্ষা পাবে। বিশে^র বাস্তবতায় আবাবি জমি যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনই জমিতে ফলাতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ ফসল। খাদ্যদ্রব্য।”
গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মালপাড়াস্থ ওয়েভ ফাউন্ডেশন মিলনয়াতনে অনুষ্ঠিত ম্যাক্সিম এগ্রো’র এক কর্মশালায় উপরোক্ত আহ্বান জানান বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অদিফতরের অবসরপ্রাপ্ত মহা পরিচালক ড. মো. হামিদুর রহমান। ম্যাক্সিম এগ্রোর স্বত্বাধিকারী শরিফ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাবেক মহা পরিচালক ও ইউএসএইড’র কনসালটেন্ট ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর, আলমডাঙ্গা কৃষি উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহিদ সোহরোয়ার্দী, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি প্রকৌশলি মো. আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন।
কর্মশালায় এলাকার বেশ ক’জন শবজি আবাদী অংশ নেন। আয়োজনের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শুধু কৃষিক্ষেত্রে নয়, সর্বক্ষেত্রেই উন্নতি করতে হলে প্রয়োজন প্রযুক্তির সুব্যবহার নিশ্চিত করা। প্রযুক্তির সুফল নিতে পারলে উন্নতি সম্ভব। ম্যাক্সিম এগ্রো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শব্জি জাতিয়ী ফসলের চারা উৎপাদন করে। সাধারণ বীজতলা থেকে পাওয়া চারা তুলে আবাদি জমিতে রোপন করলে বেশ ক’দিন ঝিম ধরে থাকে। ম্যাক্সিম এগ্রো খুবই স্বাভাবিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যে চারা প্রস্তুত করে তা তুলে জমিতে লাগানোর সময় নূন্যতম আহত হওয়ার ঝুকি থাকে না। ফলে রোপনকৃত চারার মৃত্যুহার তুলনায় খুবই কম। ম্যাক্সি এগ্রো যশোরের চূড়ামনকটি বাজার সংলগ্ন নার্সারি থেকে শুধু চারা বিক্রি বিপননই করে না, আগ্রহী চাষিকে হাতে কলমে আধুনিক প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদনের পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়। ম্যাক্সিম এগ্রো আধুনিক খাটোআবাদে আধুনিকতার ছোয়া এনে ইতোমধ্যেই আস্থার স্থান দখল করে নিয়েছে। যাকে ভরসা করা যায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. হামিদুর রহমান চুয়াডাঙ্গারই কৃতি সন্তান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জনসংখ্যা বিস্ফোরণে দ্রুত আবাদি জমি হ্রাস পাচ্ছে। একটু দায়িত্বশীল হলে আবাদি জমি রক্ষা করা সম্ভব। ভাই ভাইয়ে জমি ভাগাভাগি করলে করুক। আবাদি জমি যাতে হ্রাস না পায় তা নিশ্চিত করতে ভাইয়ে ভাইয়ে বসে যৌথভাবে বহুতল বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিক। এতে আবাদি জমি যেমন রক্ষা পাবে তেমনই নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে অবিস্মরণীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষি থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের কৃষি সমাজ কৃষিজমি রক্ষায় আন্তরিক হলে দেশ তথা জাতির ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে।
কর্মশালা আয়োজক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সিম এগ্রো’র স্বত্বাধিকারী শরিফ আমিন বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি মোড়ের অদূরে অফিস করা হয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দামুড়হুদ উপজেলা কৃষি অফিসার সকলকে বেশি বেশি করে তালের চারা রোপন ও পরিচর্যার মাধ্যমে বজ্রপাত থেকে প্রাণহানী হ্রাসে অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি দামুড়হুদার বিষ্ণপুর মাঠে বজ্রনিরোধক ছাউনি নির্মাণ করার কথা জানিয়ে বলেন, সকল এলাকার মাঠে এ ধরণের ছাউনি নির্মাণের মাধ্যমে বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যুর হার হ্রাস করা সম্ভব।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More