কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড় থেকে রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ কুষ্টিয়া ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন বিবিসিএফ’র সদস্যরা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরতলীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ সংলগ্ন গড়াই নদীর পাড়ে রাসেল ভাইপারের বাচ্চাটিকে দেখতে পাই স্থানীয়রা। পরে এএস আই মো. আসরাফুজ্জামান নামে এক পুলিশ সদস্য বন বিভাগ কুষ্টিয়া ও বিবিসিএফ টিমকে খবর দেয়। পরে বিকেলে বন বিভাগ কুষ্টিয়া ও বিবিসিএফ’র সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপের বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। অপরদিকে রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধারের খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমায়। উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)’র সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)’র সহ-সভাপতি ও মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ, সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, রাব্বু খান, বন বিভাগ কুষ্টিয়ার বন প্রহরী সদর জুয়েল আহমেদ, বাগান মালি আখিরুজ্জামান ও লিটন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির জানান, ট্রিপল নাইন’র মাধ্যমে আমরা জানতে পারি শহরের মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ সংলগ্ন গড়াই নদীর পাড়ে রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা পাওয়া গিয়েছে এমন খবর পেয়ে আমাদের টিম সেখানে যায় এবং রাসেল ভাইপার’র বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলা ও মানুষ মানুষের জন্য কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন জানান, শনিবার বিকেলে শহরতলীর গড়াই নদীর পাড় থেকে একটি রাসেল ভাইপার সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়, পরে রাতে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি বন্যপ্রাণী প্রকৃতির ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে যা অনেক মানুষের অজান্তে, তাই এই মূল্যবান সম্পদকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন আমরা সকলে সচেতন হই প্রকৃত রক্ষায় এগিয়ে আসি কোথাও কোন বন্যপ্রাণী আটক অথবা বন্দি দেখলে তা উদ্ধার করে অবমুক্ত করার চেষ্টা করুন, অথবা আমাদেরকে সংবাদ দেন আমাদের টিম হাজির হয়ে যাবো। প্রকৃতি ধ্বংসকারি যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন তার কোন ছাড় দেয়া হবে না। এর আগে গত বছর গড়াই নদীতে জেলেদের জালে তিন দফায় তিনটি রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিলে ছিলো।