গমের চালান ছেড়ে দিতে ভারতকে অনুরোধ বাংলাদেশের

 

স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে বাংলাদেশমুখী গমের চালান ছেড়ে দিতে ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কোন ধরনের বিলম্ব ছাড়াই ১০ লাখ টন গম রফতানি করতে ভারতের কাছে অনুরোধ করেছে নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন। ভারত কর্তৃক রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই এসব গমের জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলেছিলেন বাংলাদেশী আমদানিকারকরা। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানায় নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন।

শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো চিঠির একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রতি বছর ৬৭ লাখ টন গম আমদানি করে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৩ লাখ টন গম সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকার। আর ৫০ লাখ টনের বেশি গম বেসরকারিভাবে আমদানি করা হয় ভারত থেকে। ২৫ মে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর ১৩ মের আগে ইস্যু হওয়া এলসিগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ, যেখানে ওই ১০ লাখ টন গম আমদানির কথা উল্লেখ রয়েছে। গত ১৩ মে হঠাৎ করেই গম রফতানি নিষিদ্ধ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়া ওই নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক গম সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্কট আরও তীব্র হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিএফটি জানায়, ১৩ মের আগে গমের জন্য যেসব ঋণপপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোর চালান পাঠানো যাবে। তাছাড়া প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের গম রফতানি বন্ধ হবে না। পরে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনও নিশ্চিত করে, বাংলাদেশে ভারতের গম রফতানিতে কোন বাধা নেই। পাশাপাশি, অন্য যেসব দেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় গম আমদানি করতে ইচ্ছুক, সেসব দেশের সরকারের অনুরোধ সাপেক্ষেও গম রফতানি চলবে। তবে এরপরও নানা জটিলতায় ভারতে বাংলাদেশমুখী গমের বহু চালান আটকে আছে। গত ২ জুন কলকাতাভিত্তিক ইংরেজী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, গম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না শ’ শ’ ভারতীয় ট্রাক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থলবন্দরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আনুমানিক চার লাখ টন গম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলো। ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমবোঝাই ট্রাকগুলোকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এরপর ৯ জুন টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে গম রফতানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছে না মালবাহী ১২টি ট্রেন। এসব ট্রেনের মোট ৫০৪টি ওয়াগনে প্রায় ২ হাজার ৪০০ টন গম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যেসব রফতানিকারক এসব গমের চালান বাংলাদেশে পাঠাতে চান, তারা ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) অধীন আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ (আরসি) পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More