নানা কর্মসূচি নিয়ে আবারও রাজপথে মুখোমুখি দু’দল

মাঠে থাকলেও বাধা দেবে না আ.লীগ : বড় জমায়েতের প্রস্তুতি বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজপথে আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। নতুন বছরের শুরু থেকে শক্তির মহড়া দেখাতে চায় দল দুটি। কাল গণঅবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দশ সাংগঠনিক বিভাগে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ফাঁকা মাঠ ছাড়বে না আওয়ামী লীগও। একইদিনে কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখলের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। দুদলের রাজপথে অবস্থানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এ উত্তাপ যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিএনপিকে ফাঁকা মাঠ ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিনও সকাল থেকেই রাজধানী দখলের পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এদিন রাজধানীর মিরপুর ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান কর্মসূচি এবং সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে মিছিল এবং সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে সকাল থেকে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও। তবে মাঠে থাকলেও বিএনপির কর্মসূচিতে সরাসরি কোনো ধরনের বাধা দিতে চায় না আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, তাদের এসব কর্মসূচি পালটাপালটি কর্মসূচি নয়। তাদের দাবি-কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে সে লক্ষ্যেই তারা সতর্ক পাহারায় থাকবেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা পাল্টাপালটি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নই। আমরা পালটাপালটি কর্মসূচি দেই না, দিচ্ছিও না। তবে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, দেশ ও জনগণের ক্ষতি করতে চায়, তাহলে তো জনগণের রাজনৈতিক দল হিসাবে বসে থাকার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা সতর্ক থাকবেন। কেউ যেন কর্মসূচির নামে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, তারা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। রাজপথে থাকবেন। আগামীকাল বুধবার মিরপুরের ৮নং ওয়ার্ডের ঈদগাহ মাঠে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় সভাটি শুরু হবে। চলবে বিকাল পর্যন্ত। অন্যদিকে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দুই কর্মসূচিতেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয় এবং নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এতে উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি সফল করতে পৃথক বর্ধিত সভা করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ সময় নগরের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান থাকবে। বিএনপি কর্মসূচি করুন আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি তারা যেন সৃষ্টি করতে না পারে। এ বিষয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একই বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সতর্ক থাকবেন। তারা মিছিল নিয়ে আমাদের সমাবেশে যোগ দেবেন। একই সঙ্গে পাড়া-মহল্লাতেও সতর্ক অবস্থানে থাকবেন। আমরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেব না। তবে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে প্রতিহত করবো।

প্রসঙ্গত, বুধবার দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এর আগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ এবং ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। ওই দুইদিনও নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ। রাজধানীর পাড়া-মহল্লা এবং প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় ছিল দলটির নেতাকর্মীরা। ওই কর্মসূচিগুলোতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সেভাবে মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বুধবারও রাজধানীর রাজপথে সতর্ক অবস্থান নেবেন তাদের নেতাকর্মীরা। নাশকতার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ামাত্র প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নেতাকর্মীরাও প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন। তবে সরাসরি কোনো আঘাতেই যাবে না দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নামার আগেই তারা মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করবে। ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় অংশের পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ও ছোটবড় সড়ক-সবখানে ছড়িয়ে থাকবেন সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া দলীয় সংসদ-সদস্য এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দলীয় কাউন্সিলররাও তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সকাল থেকেই মাঠে থাকবেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বুধবার রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শান্তি সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। এ সমাবেশ সফল করতে আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সকাল থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মাঠে থাকবে উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও।

২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে সকাল থেকে উপস্থিত থেকে শোডাউন করবে কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সতর্ক অবস্থানে থাকবে ছাত্রলীগ। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানা-ওয়ার্ডেও সতর্ক অবস্থানে থাকবে।

যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি গণ-অবস্থানে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। বুধবার ১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে গঠন করা হয়েছে বিভাগভিত্তিক সমন্বয় টিম। এসব টিম সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও জেলা, মহানগর ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বেলা ১১টা থেকে ৪ ঘণ্টার এ কর্মসূচি সফল করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। বিএনপি ছাড়াও এদিন মাঠে থাকবে আরও ৩৩ রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং আরও ১৫টি সংগঠনও থাকবে।

এদিকে নতুন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা বিভিন্ন দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরবর্তী কর্মসূচি হিসাবে আলোচনায় আছে জেলা টু জেলা লংমার্চ বা রোডমার্চ বা পদযাত্রা ও পথসভা এবং ঘেরাও কর্মসূচি। এছাড়া ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল দিবস’ পালন করবে। ওইদিন সভা বা মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করছে। তবে এখনো পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। এদিকে বিএনপির সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে না জামায়াতে ইসলামী। তবে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা জানান, যেখানে মিছিল করলেই বাধা দেওয়া হয়, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়; সেখানে চার ঘণ্টার গণ-অবস্থান কর্মসূচি করা দলের নেতাকর্মীদের জন্য বেশি ঝুঁকি হয়ে যায়। তাই তারা ‘কৌশলগত’ কারণে গণ-অবস্থান কর্মসূচি করবে না। ওয়ান-ইলেভেনের এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করবে। দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনাসভা করা হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের পক্ষে ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এসব দাবি আদায়ে যুগপৎভাবে আমরা রাজপথে নেমেছি। ক্ষমতাসীন সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, লুটপাট, নির্যাতনসহ বহুবিধ অন্যায় দেশের মানুষ কখনো ভালোভাবে নেয়নি। এখন তারা জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’

অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে বিরোধী দলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসাবে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা ও রংপুর বিভাগে এবং ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে শান্তিপূর্ণ প্রথম গণমিছিল করেছে বিএনপি। একই দিন একই কর্মসূচি পালন করেছে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও।

বিভাগীয় শহরে গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, থানা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের ইউনিটের নেতারা এরই মধ্যে গণসংযোগ, কর্মীসভা, লিফলেট বিতরণসহ প্রস্তুতিমূলক কর্মকা- প্রায় শেষ করেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিন পাওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। নয়াপল্টনের গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মির্জা ফখরুলের। তাই নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফলে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রতিদিনই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দফায় দফায় বৈঠক করছে। নেতাকর্মীকে দেওয়া হচ্ছে নানা দিকনির্দেশনা। ১০ দফা দাবিকে তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন। এ ছাড়া প্রত্যেক বিভাগে এ কর্মসূচি পালনে কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিনিয়র নেতাদের।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগের দলনেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘গণ-অবস্থান সফলে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। এজন্য বিভাগের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিসভা করেছি। আশা করি, এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষও সম্পৃক্ত হবেন।’ তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিভাগীয় এ কর্মসূচি পালনে লালদীঘির ময়দান বা কাজীর দেউড়ির সামনে স্থান চাওয়া হয়েছে। আশা করি, সরকার এতে অনুমতি দেবে।’

সিলেট বিভাগের দলনেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বিগত দিনগুলোয় বিএনপি যেসব দাবি জানিয়ে আসছে, কথা বলেছে, তা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশের পরিবর্তনটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, এটা এখন সবার দাবি।’

বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। আমরা সব সময় পুলিশকে যেমন অবহিত করি, ঠিক একইভাবে অবহিত করেছি। ময়মনসিংহ শহরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে নতুন বাজার সংলগ্ন হরিকিশোর রায়ের রোডে গণ-অবস্থার কর্মসূচি করব।’

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে গণ-অবস্থান কর্মসূচি। সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। শান্তিপূর্ণভাবে চার ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু এবং শেষ করব। আশা করছি, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না।’

মাঠে থাকবে ৩৪ রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী পরিষদসহ আরও ১৫ সংগঠন : বুধবার গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মাঠে থাকবে। এছাড়া কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি থাকবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালক দলসহ ১৫টি সংগঠন।

গণ-অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ কয়েক দফা প্রস্তুতি বৈঠক করেছে। ওইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জোটের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। গণ-অবস্থান সফল ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সোমবার ১২ দলীয় জোট ও ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এতে আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচিসহ করণীয় নিয়ে এ দুই জোটের শীর্ষ নেতাদের মতামত নেওয়া হয়।

পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় আকারে শোডাউন করে গণ-অবস্থান কন্দ্রƒচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সব বিভাগীয় শহরে দলটি এ কর্মসূচি পালন করবে। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করবে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে জানান, কাল ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে তারা। এজন্য দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনাসভা করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More