সারাদেশে মেয়াদ ৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

সীমান্তের ৮ জেলা লকডাউনের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন অর্থাৎ গতকাল মধ্যরাত থেকে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ৩০ মে মধ্যরাত থেকে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। এরপর গণপরিবহন, মার্কেট-শপিংমল খুলে দিলেও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে বিধিনিষেধের মেয়াদ।
এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত সংলগ্ন সীমান্তবর্তী আট জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির ওই সদস্য জানান, গত শনিবার এক বৈঠকে বিশেষজ্ঞ কমিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগে থেকেই লকডাউন চলছে। কমিটির সুপারিশ চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাত জেলার লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘ওইসব জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্রভাবে বাড়ছে। এ কারণে গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লকডাউনের সময় বাস চলাচল যেন বন্ধ থাকে, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যেন বাস না চলে, সে বিষয়ে জোর দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।’ গতকাল ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র মো. রোবেদ আমিন বলেন, ‘দেশের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়গুলো খেয়াল করে বিশেষজ্ঞ কমিটি সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে।’ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, দেশে এ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিং করা নমুনার মধ্যে ২৭টি যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ভাইরাস যত বেশি ছড়াবে তত নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবে। এজন্য সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি বাংলাদেশেও মিলেছে। করোনাভাইরাসের এ ধরণটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরণটি। ভারত থকে আসা তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কথা গত ৮ মে প্রথম জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ পর্যন্ত ২৩ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More