কলকাতা-ঢাকা ও খুলনা রুটে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

কুষ্টিয়ার মিরপুরে তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও তিনটি বগির লাইনচ্যুত

স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা-ঢাকা, খুলনা-ঢাকা, খুলনা-রাজশাহী ও খুলনা-চিলহাটি রুটের চারটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও ইঞ্জিন-সংলগ্ন তিনটি বগির লাইনচ্যুতির ঘটনায় এ বিপর্যয় হয়েছে। এতে প্রতিটি ট্রেন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার হালসায় তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট আর ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে গেছে। এরপর রূপসা ও চিত্রা ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের একটি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে প্রবেশ করে। ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর আপ লাইনে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সকালে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে প্রবেশ করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অনুমতি পাওয়ার পর ১২টা ৫ মিনিটে (১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট দেরিতে) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া সময়সূচি অনুযায়ী খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ও চিলহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস বিলম্বে ছেড়ে যায়। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মাসুদ বলেন, সকাল ৯টায় স্টেশনে এসেছি রাজশাহীতে যাব চিকিৎসার জন্য। আমার সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন দেয়ার জন্য কয়েজন ছাত্রও রয়েছে। ট্রেনটি স্টেশনে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে। এতে আমরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছি। অপর এক ট্রেনযাত্রী বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে। ট্রেনের মধ্যে প্রচুর গরম। বাচ্চাসহ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই। আরেক যুবক বলেন, নাটোরে যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছি, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসার কথা থাকলেও সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আসেনি। বড় ধরনের ভোগান্তিতে আছি আমরা ট্রেন কখন আসবে জানি না। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা হয়। কোনো যাত্রী যেন বের হতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি ছিলো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More