চুয়াডাঙ্গা করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮২ জনে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ১৬৪ জন এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৮ জনের।
গতকাল নতুন করে আরও ৫৭ জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১০৩ জনে। রোববার সুস্থতার সনদ পেয়েছেন ৮৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ৪ হাজার ১০৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১ হাজার ৮১৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৫ জন। বাড়িতে রয়েছেন ১ হাজার ৭৩০ জন।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যানুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তিনজন। করোনা আক্রান্ত হয়ে যে দুজন মারা গেছেন এর মধ্যে একজন জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে এ দুজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন তিনজন। তাদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের বৃদ্ধ আবুল খায়ের (৭৬), অপরজন আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা লক্ষ¥ীপুর গ্রামের বৃদ্ধা ফাতেমা (৬০) এবং আরেকজন জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের গৃহবধূ জোহরা খাতুন (৩৫)।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের বশির উল্লাহ’র ছেলে আবুল খায়ের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ জুলাই বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আলমডাঙ্গার নওদা দুর্গাপুরের নূর আলীর মেয়ে বৃদ্ধা ফাতেমা উপসর্গ নিয়ে গত ২৫ জুলাই বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিও হলুদ জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার বেলা সোয়া ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের আনার আলীর মেয়ে জোহরা খাতুন গত ২৯ জুলাই সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের নানা উপসর্গ থাকায় তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের হলুদ জোনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
রোববার রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট ৩৩৩ টি নমুনার ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ৫৭ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ১৪জন, আলমডাঙ্গায় ১২জন, দামুড়হুদায় ২০ জন এবং জীবননগরের ১১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ফলাফল পাওয়া গেছে ২২ হাজার ৪৩৪ জনের। রোববার নতুন করে আরও ২৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২২ হাজার ৭২৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬৪ এবং জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ১৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭১জন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More