আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের যুবতী মা হয়েছেন! বাবা হয়নি কেউ?

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের পূর্ণিমা খাতুন ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকে কন্যা সন্তান ভুমিষ্ঠ হয়। বেশ কয়েকদিন আগে এলাকায় জানাজানি হলে দফায় দফায় গোপনে সালিস বৈঠকে মোটা অংকের টাকায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রাখেনি ছেলেপক্ষ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে সন্তান প্রসব করলে গতকাল বুধবার যুবতীর চাচা বিচার চেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার ডাউকি গ্রামের মুন্সিপাড়ার রফিউদ্দিন মুন্সির ছেলে প্রবাস ফেরৎ এক সন্তানের জনক আশরাফুল (৩২) বাড়ির পেছনে প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাপের যুবতী মেয়ে পূর্ণিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আশরাফুলের মেয়ের বয়স ১০ মাস। তার স্ত্রী ও সন্তান থাকতেও পূর্ণিমার সাথে নিয়মিত দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। দীর্ঘদির তাদের দুজনের দৈহিক মিলনের ফলে পূর্ণিমা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরই মাঝে পূর্ণিমা তার গর্ভবতীর কথা আশরাফুলকে জানায়। এ কথা জানার পর বেশ কয়েকবার গোপনে আশরাফুল পূর্ণিমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পেটের বাচ্চার বয়স কয়েক মাস হয়ে যাওয়ায় তা নষ্ট করতে পারেনি। একথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় মুখোরচক সংবাদে পরিণত হয়। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে। তারা রাতের অন্ধকারে দফায় দফায় গোপনে সালিস বৈঠকেও বসে। একাধিক সালিসে আশরাফুলের পরিবার পূর্ণিমার পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। আবার সালিসে দুজনকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আশরাফুলের মুন্সি পরিবার গ্রামে অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতিই তারা রাখেনি। এরই মাঝে মঙ্গলবার বিকেল থেকে পূর্ণিমার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় আলমডাঙ্গা কলেজপাড়াস্থ শেফা ক্লিনিকে। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় পূর্ণিমা খাতুন জন্ম দেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। বাচ্চাটির নাম রাখে সাথী।
এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে পূর্ণিমার চাচা বজলুর রহমান বুধবার বাদি হয়ে থানায় ৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি মূল হোতা ডাউকি গ্রামের রফিউদ্দিন মুন্সির ছেলে আশরাফুল। পরবর্তীতে ঘটনা চেপে যেতে হুমকি-ধামকি দেয়ায় আসামি করা হয়েছে আশরাফুলের পিতা রফিউদ্দিন মুন্সি ও তার অপর দুই ভাই হাসিবুল ও নাজমুলকে। এছাড়া হুমকি-ধামকিতে অংশ নেয়া একই গ্রামের মৃত আরজেত আলীর ছেলে মিজানুলকেও আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাদি বজলুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে আশরাফুল। এরপর তারা একেক সময় বিয়ে দিবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গ্রাম্য প্রভাবের কারনে তারা আর বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তারা আমার বড় ভাইয়ের পরিবারকে একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More