করোনা আক্রান্ত গাংনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুল ইসলামের মৃত্যু

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতা মহিবুল ইসলাম মহি (৭৫) আর নেই। গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি …….. রাজেউন)। মহিবুল ইসলাম গাংনী উপজেলার আকুবপুর গ্রামের মৃত হারুন-অর-রশিদের বড় ছেলে।
শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, মহিবুল ইসলাম মহি বেশ কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সকালে তার মৃত্যু হয়।
মহিবুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি হোগলবাড়ীয়ায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাংনী পৌরসভার চৌগাছায় নিজের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। শিক্ষকতা জীবনে বাওট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। সাহারবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। শিক্ষকতা জীবনে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদদের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুল ইসলামের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে গাংনী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। জানাজা শেষে চৌগাছা গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুল ইসলাম ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু যখন কুষ্টিয়া সফর করেছিলেন তখন তিনি ইউনাইটেড স্কুলে গিয়েছিলেন। কাদায় পা আটকে গেলে মহিবুল ইসলাম গায়ের জামা খুলে জাতির পিতার কাদা মুছে দিয়েছিলেন। যা তার পরিবারের গৌরবের জায়গা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল ছিলেন মহিবুল ইসলাম। গাংনীর সবগুলো নির্বাচনে তিনি ছিলেন নৌকার পক্ষে। যে যখন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহিবুল ইসলাম তার পক্ষেই কাজ করেছেন নৌকা বিজয়ী করার জন্য। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা একেএম কামরুজ্জামান জামান।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More