গাংনী প্রতিনিধি: স্ত্রীর অধিকার পেতে শেষ পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতে ধরনায় বসেছেন রেশমা নামের এক গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এমনকি স্বামীকে লুকিয়ে রেখে তার সাথে দেখাও করতে দেয়া হচ্ছে না। দেয়া হচ্ছে নানা হুমকি ধামকি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনির নীলমনিপাড়ায়।
জানা গেছে, শ্যামপুর কলোনির নীলমণিপাড়ার জোহর আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান। বয়স ১৮ কি ১৯ বছর। বছর দেড়েক আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়া গ্রামের লাল্টুর মেয়ে রেশমার সাথে। শেষ পর্যন্ত তাদের এই প্রেম গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। মাস দেড়েক আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা রেশমার খালার বাড়ি গাংনীর শিশিরপাড়ায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু পুত্রবধূ রেশমাকে মেনে নিতে পারেননি শ্বশুর জোহর আলী। সাকিবের এই গোপন বিয়ের খবর জানতে পেরে তার বাবা পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় সাকিবকে নিজ বাড়িতে ফেরত আনেন। শুধু তাই নয়, সাকিবকে অন্যস্থানে নিয়ে আটকে রাখেন। সাকিবের দেখা না পেয়ে স্ত্রী রেশমা খাতুনও মরিয়া হয়ে উঠে স্বামী কাছে পাবার জন্য। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে হাজির হন স্বামীর পিতার বাড়িতে। কিন্তু বিধিবাম। শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি। স্বামীর সাথেও দেখা করতে পারেনি রেশমা। ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির পাশে। উৎসুক জনতা ভীড় জমাচ্ছেন। কেউ বলছেন পক্ষে আবার কেউ কেউ সাকিবের পক্ষ নিয়ে নানা কুরুচী মন্তব্য করছেন। রেশমা জানান, তার প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ হবার পর খালার বাড়িতে অবস্থান করছিলো। বছর দেড়েক আগে সাকিবের সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। প্রথমে কথা বিনিময় হলেও পরে দুজনের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। রেশমার পরিবারের লোকজন সাকিবের বাবাকে জানাতে চাইলেও সাকিব তা নাকচ করেন। এক পর্যায়ে বিয়ের কাজ শেষ করে সাকিব শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন। বিষয়টি জানার পর সাকিবের বাবা তাকে নিয়ে আসেন এবং লুকিয়ে রাখেন। এ বিয়ে মেনে না নিলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন রেশমা। সাকিবের বাবা জোহর জানান, ছেলে সাকিব নাবালক। তার এখনও কোনো বুদ্ধি হয়নি। সে নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অবিবাহিত একটা ছেলে এক সন্তানের জননীর সাথে প্রেম বা বিয়ে করবে সেটা মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলেও জানান জোহর আলী।