চুয়াডাঙ্গায় ক্রীড়া শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই ব্যবস্থা

 

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ক্রীড়া শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার একমাস পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। গত মঙ্গলবার ওই ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হয়। আজ শুক্রবার ১ মাস ৩ দিন। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে, শিক্ষকদের মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের আলোচনার মাধ্যমে এ সপ্তাহেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলাম কর্তৃক কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্রীড়া শিক্ষক সোয়েব আক্তারকে মারধরের ঘটনার গত মঙ্গলবার একমাস অতিবাহিত হয়েছে। গত ২ তারিখ অ্যাডহক কমিটির সভাপতির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার এখনো কোনো সুষ্ঠু সুরাহা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা ইউএনও। উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্কের একপর্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলাম ক্রীড়া শিক্ষক সোয়েব হোসেনকে স্কেল দিয়ে মারধর করে। পরে ঠেকাতে গিয়ে বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর শামীম রেজা হালকা চোট পান। ওই ঘটনায় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের শার্টের বোতাম ছিঁড়ে যায়। ঘটনার পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষকদের প্রতি যথারীতি ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। যার কারণে শিক্ষদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়ে গেছে। অপরদিকে ৩  অক্টোবর অ্যাডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরে ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনরায় কমিটি গঠণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলাম। তবে নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া বলেন, অ্যাডহক কমিটির জন্য এখনো কোন চিঠি পাইনি। তবে সম্ভবত আমাকে এডহক কমিটির সভাপতি করা হতে পারে। আর শিক্ষকদের মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক মহোদয় আলোচনার মাধ্যমে এই সপ্তাহে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More