তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল: নির্যাতনে জড়িত ২ জনের বাড়ি যশোরে : আশ্রয়দাতার বাড়ি ঝিনাইদহে

বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি যশোরে। এর মধ্যে একজনের নাম আলামিন (২৪) ও অপরজনের নাম তানিয়া (২৩)। আলামিন নামের ওই যুবকের বাড়ি যশোর শহরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকায়। আর তানিয়ার বাড়ি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায়। আলামিন ৬ মাস আগে বাড়ি ছাড়ে।
নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আলামিনের বাড়ির এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেছেন। তবে তারা বলেন- আট মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ২১ মে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এই নির্যাতনের জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ। গ্রেপ্তার সবাই একই গ্রুপের এবং সবাই বাংলাদেশি বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। তরুণীকে পাচার করে নিয়ে যাওয়ার মূলহোতা টিকটক হৃদয় বাবুর পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়ায় এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে খবর প্রচার হয়। তবে নির্যাতনের ভিডিওতে থাকা যশোরের আলামিন ও তার কথিত স্ত্রী তানিয়াকে শনাক্ত করেন তার প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা।
আলামিনের বাবা যশোরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া ভ্যানচালক মনু মিয়া বলেন, ‘আলামিন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিনের স্বভাব ভালো না। আলামিনের কাছে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসতো। তারা আমার ঘরে বসেই ইয়াবা খেতো। যে কারণে আট মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। আলামিন ভারতে গেছে এবং তার বউ বাবার বাড়ি গেছে। তার সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।’ স্থানীয়রা আরো জানান, ‘আলামিন দুটি বিয়ে করেছেন। দুই সংসারে তার দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের ফেলে তিনি ভারতে চলে যান। ভিডিওতে তাকে গোলাপি ফুলহাতা গেঞ্জি ও হাফপ্যান্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তার পায়ে কালো রাবারের ব্যান্ড ছিল। ভিডিওতে থাকা লাল ফুলহাতা টপস পরা মেয়েটির নাম তানিয়া। তার বাড়ি যশোরের অভয়গর উপজেলার নওয়াপাড়ায়। তানিয়া আলামিনের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভারতে নিয়ে যান।’ আলামিনকে চেনেন এমন কয়েকজন ভারতে অবস্থানকারী জানান, আলামিন, টিকটক হৃদয় বাবুসহ অন্যরা সবাই বেঙ্গালুরুতে কোর্টলোর এলাকায় রাফি নামে একজনের ছত্রছায়ায় থাকে। রাফির বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায়। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল মণ্ডল। রাফিকে আলামিনরা ‘বস’ বলে সম্বোধন করেন। এদিকে, নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল ও আলামিনের পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর থেকে তার বাড়ির লোকজনও চাপের মধ্যে রয়েছেন। স্থানীয় পুলিশও বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ-খবর করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা।
এদিকে ভারতের একটি সূত্র জানায়, নির্যাতনে জড়িত আলামিন ও তানিয়া গা ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া ডালিম ও সবুজ নামে আরও দুই যুবক ছিল, তারাও পালিয়ে গেছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ তাদের খুঁজছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More