প্রেমিকার-প্রেমিক আটক: জরিমানার ২লাখ টাকা নিলেন মন্ডলরা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার দুর্লভপুরে স্কুলছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে আটক হয় প্রেমিক। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটে। তবে গ্রাম্য সালিসে ২লাখ টাকায় দফারফা হলেও প্রাপ্য টাকা পায়নি ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আশিক দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সুযোগে আশিক ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হত। গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে আশিক তার প্রেমিকার ঘরে  ঢোকে। ওই সময় স্কুল ছাত্রীর পিতা আশিককে হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারসহ গ্রাম্য মন্ডলদের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় সালিশকারীরা ২লাখ টাকায় মিমাংসা করে ঘটনাটি। ওই রাতেই স্কুল ছাত্রের পিতা মিজানুর রহমান ১লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং ১লাখ টাকা ৩ দিনের মধ্যে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে, স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, ২লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১লাখ টাকা রাতেই পরিশোধ করে। কিন্তু জরিমানার একটি টাকাও তারা পাননি বলে অভিযোগ করেন। স্কুল ছাত্রের পিতা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে ফোন দিয়ে ডাকে। আমার ছেলে বাড়িতে গেলেই জোরপূর্বক আটকে রাখে স্কুল ছাত্রীর পিতা। আমাকে জিম্মি করে ২লাখ টাকা জরিমানা করে গ্রামের নেতারা। সেদিন রাতেই ১লাখ জরিমানার টাকা পরিশোধ করে সময় চেয়ে নিয়েছি। স্থানীয় মেম্বার আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে স্কুল ছাত্রকে মেয়ের পিতা ঘরে আটক করে। তবে টাকার ব্যাপারে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু জানান, ছেলে মেয়ে অনৈতিক ঘটনার সময় হাতে নাতে আটক হয়েছে শুনেছি। তবে, আমাকে কেউ না জানানোর কারনে আমি যায়নি ও বিষয়টি সঠিক বলতে পারছি না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More