বাড়ি থেকে চোরাই গরু উদ্ধার, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যানের পিএস রনি আটক

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আতিকুল ইসলাম রনির বাড়ি থেকে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ চোরাই গরু দুটি উদ্ধার করে। অভিযুক্ত রনি (২৭) দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের পুড়াপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দীনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর বক্সের ছেলে শাহাবুদ্দীনের গোয়াল থেকে একটি সাদা-কালো রঙের ফ্রিজিয়ান গাভী চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গতকাল সোমবার বিকেলে গরুর মালিক লোক মারফর জানতে পারেন দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলীর পিএস পুড়াপাড়া গ্রামের রনির বাড়িতে একটি ফ্রিজিয়ান গাভী ও একটি এড়ে গরু বাঁধা আছে। সংবাদ পেয়ে গরুর মালিক শাহাবুদ্দিন, ছেলে স্বপন এবং প্রতিবেশী আকুল ও শিক্ষক হাবিবুরকে সাথে নিয়ে পুড়াপাড়া গ্রামে আসেন এবং রনির গোয়াল ঘরে গরু দুটি দেখতে পাই। বিষয়টি দামুড়হুদা সদর ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে জানান। পরে মেম্বার জাহিদুল ইসলামের সহায়তায় রনির বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভী গরু ও একটি বাছুর গরু উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তৌহিদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চোরাই গরু দুটি উদ্ধারপূর্বক দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে নেন। গরু দুটি উদ্ধারের সময় দামুড়হুদা সদর ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও হোগলডাঙ্গা গ্রামের রনিকে জিজ্ঞাসা করলে রনি বলেন আমি গরু দুটি কিনেছি। তবে কার কাছ থেকে কিনেছে জানতে চাইলে সে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেন। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া এড়ে বাছুরটি দামুড়হুদা গ্রামের মৃত মিক্সার মন্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম থানায় এসে তার গরুটি শনাক্ত করেন। এদিকে, আতিকুল ইসলাম রনির বাড়ি থেকে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার হলেও ঘটনাস্থল থেকে রনিকে আটক না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত রনিকে প্রকাশ্যে থানার সামনে ও ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন প্রশাসন যদি কঠোরভাবে তদন্ত করে তাহলে গরু চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতারাও আইনের আওতায় আসবে। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, চুরি হওয়া গরুর মালিক হোগলডাঙ্গা গ্রামের শাহাবুদ্দীন আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আতিকুল ইসলাম রনি যদি প্রকৃত অপরাধী হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে সে এ ধরনের কর্মকা-ের সাথে জড়িত তা আমি আগে বুঝতে পারিনি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গরু চুরির অভিযোগে আতিকুল ইসলাম রনিকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More