আলমডাঙ্গায় শোক দিবসের আলোচনাসভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খোকন

বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন একটি আদর্শের নাম
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: জাতীয় শোক ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলমডাঙ্গায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গার ডাকবাংলোতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। কেন না একটি জাতি ও রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে ততদিন অমর তিনি। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শোষক পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই তিনি জীবিত এ জাতির চেতনায়। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, একটি আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিলো গোটা দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে। পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন তা অবিস্মরণীয়। সেদিন তার বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই অমর আহ্বানেই স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো নিপীড়িত কোটি বাঙালি। সেই মন্ত্রপূত ঘোষণায় বাঙালি হয় উঠেছিলো লড়াকু এক বীরের জাতি। আবার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠেই জাতি শুনেছিলো মহান স্বাধীনতার অমর ঘোষণা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ওই আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ বাবলু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল, সদস্য নেছার আহমেদ প্রিন্স। ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সরোয়ার শামীমের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আশাদুল ইসলাম, যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন দীপক বিশ্বাস, খাদিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান টাইগার আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান দুদু, নাগদাহ ইউপি সভাপতি আলী আশরাফ মুন্নু, লিয়াকত হোসেন, নজরুল ইসলাম, ওয়াদুদ, ছাত্রলীগ নেতা সাইকা, তপন, মাসুম, মোজাম্মেল, রিভেন, তপু, নিপ্পন, সনি, রুদ্র প্রমুখ।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, নবগঠিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২নম্বর সড়কের সাধারণ বাড়িটিতেই বাস করতেন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে। এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে। হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এই হত্যাকা-ের মাধ্যমে সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিলো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More