চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে ইউপি সদস্যর সহায়তায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার গড়াইটুপিতে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন চাঁনের সহায়তায় বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে মর্জিনা খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী তেঘরী মালোপাড়ার আব্দুল মজিদের মেয়ে ও স্থানীয় খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের কালুপোল গ্রামের রাহেন উদ্দিনের ছেলে রুবেল একই ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের মালোপাড়ার আব্দুল মজিদের মেয়ে মর্জিনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। মেয়ের বয়স না হওয়ার কারণে গতপরশু মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপনে বিয়ে দেয়া হয়। পরের দিন ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তেঘরী গ্রামের ফারুক হোসেন চাঁন মেম্বারের সহায়তায় ওই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কাজ করেন।
এদিকে একজন ইউপি সদস্য হয়ে বাল্যবিয়ে দেয়ার বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও অনেক বিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কালুপোল গ্রামের রুবেলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছেলের বয়স ঠিকঠাক আছে তবে মেয়ের বয়স কম আছে। মেয়ের গ্রামের চাঁন মেম্বার নিজে স্বয়ং দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছেন। এতে সমস্যা থাকার কথা না। সে সবকিছু ম্যানেজ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন চাঁন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, বাল্যবিয়ের বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, যারা বাল্যবিয়ে বিরোধী মিটিং সিটিং করে মানুষের সচেতন করে তোলে তারা যদি এহেন কর্মকা-ে সহায়তা করে সেটা সমাজের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। তার বিরুদ্ধে আরো বাল্যবিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই তার শাস্তি দাবি করেছেন গ্রামবাসী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More