চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মাদকাসক্ত যুবকের কাণ্ড : নববধূ ও বোনকে পিটিয়ে জখম

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নববধুকে ও নিজ বোনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জনি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত দুই নারীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১০ টার দিকে এঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার জনির স্ত্রী রুপা খাতুন (২৩) ও জনির বোন মৌসুমি আক্তার (২২)।

আহত রুপা খাতুন বলেন, গত ১ মাস পূর্বে জনির সাথে আমার বিয়ে হয়। এর আগে জনির দুইটা স্ত্রীও রয়েছে। বিয়ের পর জানতে পারি আমার স্বামী মাদকাসক্ত। মাদক সেবনে নিষেধ করা সহ তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে বেধড়ক মারধর করে। গতকাল বাড়িতে আমার নানী শাশুড়ী বেড়াতে এসেছে। রাতে নানীর শাশুড়ীর সাথে ঘুমাতে জনি বাধা দেয়। এই নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে আমাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এসময় আমার ননদ মৌসুমি আক্তার ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে আমার স্বামী। আহত মৌসুমি আক্তার বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। রাতে বাড়িতে এসে দেখি ভাবিকে মারধর করছে আমার ভাই। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও পিটিয়ে জখম করে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাবির বাড়ি দর্শনা দোস্ত গ্রামে। স্বামীসহ আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এর মধ্যে আমার ভাই জনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক হলে মাস খানেক আগে বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকেই ভাবিকে নির্যাতন করে আসছে।

জনির বাবা খোরশেদ আলম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, জনি আমার স্ত্রী প্রথম পক্ষের ছেলে। সে মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই আমার পুত্রবধূকে মারধর করে। আমার মেয়েকেও আজকে মেরেছে। আমি আইনের আশ্রয় নেবো। ছেলের নামে মামলা করবো।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, দুই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে লাঠি দিয়ে তাদের মারধর করা হয়েছে। তবে দুজনই শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত জনিকে পাওয়া যায়নি। মামলা বা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More