চুয়াডাঙ্গায় চুরির অভিযোগে শিশুকে পুলিশে দিলো সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফাতেহ্ আকরাম

হাসপাতালে আমার এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম। নতুন বিল্ডিংয়ের উপরে উঠলে সেখানে বেসিনের উপর দুইটা সাওয়ার পড়ে ছিলো। আমি ওই দুইটা সাওয়ার নিলে আমাকে পুলিশে ধরে। আমি মায়ের কাছে যাবো, আপনারা আমাকে আমার মায়ের কাছে নিয়ে যান। এভাবেই বর্ণনা দিচ্ছিলো চঞ্চল নামের ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের এক শিশু। ওই শিশু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার জয়নালের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা ফার্নপাড়ায়
অবস্থিত খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসার ছাত্র। প্রথমে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ্ আকরাম তার নিজের কক্ষে শিশুটিকে পুলিশ পাহারায় আটকে রাখে। পরবর্তীতে থানায় ফোন করে তাকে সদর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পরিচিত কাউকে না পেয়ে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে চঞ্চল বলে, আমার বন্ধুর চাচা অসুস্থ। বেলা ১১ টার দিকে ওই বন্ধুর সাথে হাসপাতালে আসি। নতুন বিল্ডিংয়ের উপরে বেসিনের উপর দুইটা পানির সাওয়ার পড়ে ছিলো। আমি সেটা নিয়ে ফিরছিলাম। পরে পুলিশ আমাকে আটকে দেয়। এসময় কাঁদতে কাঁদতে শিশু চঞ্চল বলে, ‘আমি চোর না, আমি পড়াশোনা করি’। আমাকে ছেড়ে দেন, আমি আমার মায়ের কাছে যাবো। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ্ আকরাম বলেন, হাসপাতালে প্রায় চুরির ঘটনা ঘটে। আমরা কিছুতেই আটকাতে পারছিলাম না। ওই ছেলেটি চুরি করেছে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার কোন বিকল্প পথ আমার কাছে নেই। পুলিশ এর বিচার করবে। এ ব্যপারে জানতে চাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More