চুয়াডাঙ্গায় টিসিবির খাদ্য সামগ্রী বিক্রিতে হযবরল অবস্থা – ইউনিয়ন পর্যায়ে পণ্য বিক্রির দাবি এলাকাবাসীর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খাদ্য সামগ্রী বিক্রিতে হযবরল অবস্থা তৈরী হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক ডিলারশিপের নিয়োগ পেলেও শুধুমাত্র পৌর এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করায় এ অবস্থা তৈরী হয়েছে। জেলায় মোট টিসিবির ডিলারশিপ রয়েছে ১৩ ব্যবসায়ীর। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২জন এবং জীবননগর উপজেলায় ৩জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জন্য মেসার্স মা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মেসার্স মাওয়া ট্রেডার্স, মেসার্স ভাই ভাই রাইস মিল, জেড এস এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স খলিল ট্রেডার্স এবং মেসার্স রহিত এন্ড রাফি ট্রেডার্স, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কাকুলী ট্রেডার্স ও হেলাল ট্রেডার্স, দামুড়হুদা উপজেলায় জব্বার এন্টারপ্রাইজ, দশমী ও জুড়ানপুরের মেসার্স মোখলেছুর এন্টারপ্রাইজ এবং জীবননগর উপজেলার মেসার্স সাগর কুমার বিশ্বাস, সাইদুর রহমান ও মেসার্স সততা মুদি স্টোর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার জন্য নির্ধারিত ডিলার রয়েছেন ১১জন। ওই ১১ জন উপজেলা ভিত্তিক ডলার হিসেবে নিয়োগ পেলেও তারা শুধুমাত্র নিজ নিজ পৌর এলাকায় টিসিবির পণ্য সামগ্রী চিনি প্রতি কেজি ৫৫টাকা, মশুরী ডাল ৫৫ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, পিঁয়াজ ২০ টাকা কেজি, ছোলা ৫৫ টাকা কেজি ও খেজুর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। তবে, এই সুবিধা জেলা শহরে ও পৌর এলাকার নাগরিকরা পেলেও ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি একেবারেই পাচ্ছে না। ফলে, সরকারের সুফল পেতে নি¤œআয়ের মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া, প্রায় ৯৯৫ টাকা টাকার প্যাকেজে পণ্য বিক্রির করার কারণে সবশ্রেণির মানুষ পণ্য কিনতে পারে না। সেজন্য মানুষ সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে পৌর এলাকায় নয়, ইউনিয়ন পর্যায়ে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে সরকারের সফলতা পৌঁছিয়ে দিতে দাবি করেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্রির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে, প্যাকেজের দাম কমানো যায় সেদিকে নজর দেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More